টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে অটল মাস্ক, প্রতিদিন ক্ষতি ৪ মিলিয়ন
এলন মাস্ক টুইটার কর্মীদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে প্রতিদিন চার মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার একটি মেমো অনুসারে কর্মীদের ইমেলে অবহিত করা হয়েছিল যে টুইটারের কর্মীদের ছাঁটাই শুরু হতে চলেছে।
এলন মাস্ক টুইটার কর্মীদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে প্রতিদিন চার মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার একটি মেমো অনুসারে কর্মীদের ইমেলে অবহিত করা হয়েছিল যে টুইটারের কর্মীদের ছাঁটাই শুরু হতে চলেছে। এই বিষয়ে টেসলার সিইও এলন মাস্ক জানিয়েছেন, এই মাইক্রো-ব্লগিং সাইটটি প্রতিদিন চার মিলিয়ন ডলার লোকসান করছে। তবু কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হচ্ছে টুইটারকে আরও লাভজনক করতে।
টুইটার নিয়ে এলন মাস্ক বলেছেন, টুইটারের শক্তি হ্রাসের বিষয়েটি দুর্ভাগ্যজনক। প্রত্যেককে তিন মাস ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ৫০ শতাংশ কর্মীকে। টুইটারের ৭৫০০ জন কর্মীর অর্ধকে কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়। এলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা নিয়েই সিইও পরাগআগরওয়ালকে সরিয়ে দেন। এছাড়াও আরও অনেককে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার কেনার উদ্যোগ শেষ করেন এলন মাস্ক। তারপরই প্রথম কোপ পড়ে টুইটারের প্রধান নির্বাহী আধিকারিক ভারতীয় পরাগ আগরওয়ালের উপর। তাঁকে শীর্ষ পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর এলন মাস্ক ভারতীয় কর্মীদের ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেন। এমনকী বিশ্বজুড়ে টুইটারের প্রায় অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার থেকে টুইটার ব্যাপকভাবে ছাঁটাই করতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। আর তারপর থেকেই মাইক্রোব্লগিং সাইটটি ব্যহত হতে শুরু করেছ। ছাঁটাইয়ের আশঙ্কায় সাইটটি ব্যহত হয় বলে অনেকেরই দাবি। অনেকেই জানান, সমস্যার পরে ওয়েবসাইটে দেখেন একটি লেখা- "কিছু একটা সমস্যা হয়েছে, কিন্তু কেউ ভয় পাবেন না। আরেকবার চেষ্টা করুন।" তারপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা চলেছে।
এদিকে দাবি করা হয়েছে, এলন মাস্ক ইমেল করে সমস্ত কর্মীদের জানান, শুক্রবার থেকেই ছাঁটাই শুরু হবে। টুইটারকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে বিশ্বব্যাপী সংস্থার বহুকর্মীকে ছাঁটাই করতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এই সিদ্ধান্ত তাঁদের নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাস্ক। সমস্ত কর্মীকেই বলা হয়, আপনারা বাড়ি ফিরে যান। ব্যক্তিগত ই-মেলেই তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে কারা থাকছেন, কাদের চাকরি যাচ্ছে। মাস্কের এই সিদ্ধান্তের পর সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়।
শুধু ভারতীয় কর্মীই নয়, বিশ্বব্যাপী কর্মী নিয়োগের রাস্তায় হাঁটছে টুইটার। এরপর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাগে মামলাও হয়েছে। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, এভাবে বিনা নোটিসে কর্মী ছাঁটাই করা যাবে না। মালিকানা পেয়েই মাস্ক যেভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে পা বাড়িয়েছেন তা নিন্দনীয়। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর তেকে টুইটারের সমস্ত শেয়ার নিজের নামে করে নিতে উঠেপড়ে লাগেন মাস্ক। টালবাহানার পর টুইটারের ১০০ শতাংশ মালিকানা নিয়ে তিনি কর্মীদের ছাঁটাইয়ের রাস্তায় হেঁটেছেন।