কুর্দি বিদ্রোহীদের প্রতিরোধে মুখে তুরস্কের সেনারা
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর অভিযান চলাকালে কুর্দি গেরিলারা পাল্টা আক্রমণ চালায় এবং অন্তত সাতজন সেনা নিহত হয়।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর চালানো অভিযানে কুর্দি গেরিলারা পাল্টা আক্রমণ চালালে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ফলে শনিবার দিনটিকে বর্ণনা করা হচ্ছে তুর্কী সামরিক বাহিনীর জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন হিসেবে।
শনিবার একদিনেই কুর্দি বাহিনীর পাল্টা হামলায় তুরস্কের অন্তত সাতজন সেনা নিহত হয়েছে। আফরিনে ওয়াইপিজি গেরিলারা তুরস্কের ট্যাঙ্ক বহরে হামলা চালালে সেখানে পাঁচ তুর্কি সেনা নিহত হয়। অপর দুটি হামলায় আরও দুই তুর্কি সৈন্য নিহত হয়।
অভিযান শুরুর পর এ দিনটিকেই তুরস্কের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তুরস্কের অভিযানটিতে সব মিলিয়ে ১৪ তুর্কি সেনা নিহত হল।
এ ঘটনার পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়ে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, 'দ্বিগুণের বেশি মূল্য দিতে হবে'।
কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের আফরিন থেকে উৎখাত করতে গত ২০শে জানুয়ারি 'অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ' শুরু করে তুর্কি সেনারা। তুরস্ক সরকারের বক্তব্য তুরস্ক সীমান্তকে সন্ত্রাসমুক্ত করাই এ অভিযানের লক্ষ্য।
তুরস্কের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আফরিন শহরের উত্তর-পূর্ব এলাকায় শেখ হারুয-এ কুর্দি মার্কিন সমর্থন-পুষ্ট ওয়াইপিজি বিদ্রোহীরা সেনা ট্যাংকের ওপর হামলা চালায়।
কুর্দি বিদ্রোহীরা অবশ্য বলছে, তুরস্কের এই অভিযানে হাজার হাজার মানুষ ঘরহারা হয়েছে। শনিবার সিরিয়ান কুর্দি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, অন্তত ১৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৩০০ মানুষ আহত হয়েছে অভিযান শুরুর পর থেকে। তবে স্বাধীনভাবে এই তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।