তুর্কী আস্ফালনে উত্তর সিরিয়া সীমান্ত হাতছাড়া কুর্দদের! মার্কিনি সেনার পদক্ষেপে সরগরম মধ্যপ্রাচ্য
প্রবল বোমা বর্ষণ, রক্তক্ষয়, ঘরছাড়ার যে যুদ্ধ-ইতিহাস বিশ্ব দেখে এসেছে, ঠিক একই ছবি এখন সিরিয়ায়। ক্রমেই উত্তর সিরিয়ার সীমান্ত দিয়ে তুরস্কের আগ্রাসন আরও ঘনীভূত হচ্ছে সিরিয়ার মাটিতে। যুদ্ধ মূলত তুরস্কের সেনা আর কুর্দ যোদ্ধাদের মধ্যে। যে কুর্দ যোদ্ধারা এককালে মার্কিন সেনাকে সাহায্য করেছিল আইএস জঙ্গি দমনে। আর সেই কুর্দদের বিরুদ্ধে তুর্কী হানা যখন ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, তখন সেনা প্রত্যাহারের ডাক দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ।

তুর্কী হানা উত্তর সিরিয়া জুড়ে
উত্তর সিরিয়ায় কুর্দ উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা তথা কুর্দ যোদ্ধাদের ঘাঁটি কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়েছে তুরস্ক। ক্রমাগত সেখানে যুদ্ধবিমানে চলছে বোমাবর্ষণ। এই কুর্দ যোদ্ধারা তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য 'ভয়ের কারণ' হয়ে উঠছে বলে তুর্কীর এই আগ্রাসন বলে জানিয়েছে সেদেশ।

সেনা সরাচ্ছে মার্কিনীরা
তুরস্ক যখন সিরিয়ায় ঢুকে আগ্রাসনে বদ্ধপরিকর, তখন সেখান থেকে সিরিয়ার মাটি থেকে ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০০০ ট্রুপ ফিরে যাচ্ছে সিরিয়া থেকে। ফলে আরও সুবিধা পেয়ে গেল তুরস্ক। মার্কিনিরা সরে যেতেই তুরস্ক সিরিয়ার অন্দরে ক্রমেই প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

আইএস-এর জঙ্গি শিবিরে ধাক্কা
তুর্কী আক্রমণের জেরে আইএস জঙ্গি শিবিরে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। সিরিয়া ছেড়ে এই মুহূর্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় ৮০০ আইএস জঙ্গি। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিনিদের সেনা প্রত্যাহার একটি বড় ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘরছাড়া সাধারণ মানুষ: রাষ্ট্রসংঘ
এদিকে তুর্কী আগ্রাসন দুশ্চিন্তায় রেখেছে রাষ্ট্রসংঘকে। প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষ এই মুহূর্তে সিরিয়ায় ঘর ছাড়া। তেল আবেদ ও রাস অল ইন -এর মতো জায়গায় রবিবার থেকে ১৩০০০০ জন মানুষ ঘর ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কার্যত সিরিয়া জুড়ে এই মুহূর্তে শ্মশানের স্তব্ধতা মাথা চাড়া দিয়েছে।