কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-তুর্কি আঁতাত, ভারতবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে এবার জাল বিস্তার তুরস্কের!
দ্রুত বেগে ভারতের অভ্যন্তরে দেশবিরোধী জাল ছড়িয়ে দিতে এবার উদ্যত হয়েছে তুরস্ক। সাধারণত ভারত বিরোধী কার্যকলাপে আমরা পাকিস্তানকে লিপ্ত হতে দেখি। পিছন থেকে চিনের সমর্থনও তাতে দেখা যায়। তবে গত কয়েক মাস ধরে ভারত বিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপে আমরা চিনকে সরাসরি যুক্ত হতে দেখেছি। আর তার মূল কারণ লাদাখ নিয়ে বিবাদ। তবে এহেন পরিস্থিতিতে তুরস্কের ভারত বিরোধী হয়ে ওঠা অনেকেরই চোখের আগোচরে রয়ে গিয়েছে।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে সরব তুরস্ক
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়ে পাকিস্তান ও চিনের পরে যদি কোনও দেশ সবথেকে বেশি সরব হয়ে থাকে, তাহলে সেটা হল তুরস্ক। এবং শুধু সরব হওয়াতেই এই বিষয়টি থেমে নেই। তুরস্ক ভারতের অভ্যন্তরেই দেশবিরোধী মনোভাব সৃষ্টির এক জাল ক্রমেই বিস্তার করছে চুপিসারে।
ভারতবিরোধী কার্যকলাপের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক
সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের পর যে দেশে সব থেকে বেশি ভারতবিরোধী কার্যকলাপ হয়ে থাকে, সেটা হল তুরস্ক। গত বছরের অগাস্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার পরবর্তী সময়ে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী তাইপ এরদোয়ান যখন পাকিস্তান সফরে আসেন, তখন তিনি 'কাশ্মীর স্বাধীনতা সংগ্রাম'-কে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমান সাম্রাজ্যের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তিতে তুরস্কের বক্তব্য
এমনকি ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তিতেও এবিষয়ে বক্তব্য রাখা হয়। পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে একই লাইনে থেকে সেই বক্তব্য ছিল ভারত বিরোধী। আর বক্তব্যটা পেশ হয় পাকিস্তানের নয়া রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশের পর। নয়া সেই মানচিত্রে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। এবং বকলমে তুরস্কের বক্তব্য পাকিস্তানের সেই দাবিকে সমর্থন জানায়।
ভারতে তুরস্কের জাল বিস্তার
জানা গিয়েছে দিল্লিতে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের তরফে ভারতের এমন সব এনজিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় যারা সরকার বিরোধী সক্তির প্রতি সমবেদনশীল। পরবর্তীতে সেসব এনজিও-র সদস্যদের তুরস্কের ট্রিপে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং এই এনজিওগুলোকে ভারত বিরোধী বক্তব্য পেশ করতে এবং সেই মনোভাব ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ দেওয়া হয়।
তুরস্ককে মদত দিচ্ছে আইএসআই
শুধু তাই নয় তুরস্ক তাদের এই কার্যকলাপ চালানোর জন্য সময় সময় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এরও মদত নিয়ে থাকে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় মুসলিম ছাত্র, বিশেষ করে কাশ্মীরি ছাত্রদের তুরস্ক স্কলারশিপ দিয়ে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানে পাকিস্তানের অপারেটিভরা ধীরে ধীরে সেসব ছাত্রদের 'মগজ ধোলাই' করে।
ভারত বিরোধী কাজে মদত তুরস্ক সরকারের
এই ভারত বিরোধী কার্যকলাপে যে সকল তুর্কি সংস্থার নাম উঠেছে, তাদের মধ্যে কয়েকটি হল, তুরস্ক ইউথ ফাউন্ডেশন, প্রেসিডেন্সি অফ তুর্কস অ্যাব্রড অ্যান্ড রিলেটেড কমিউনিটিজ, টার্কিশ এয়ারলাইনস, ইউনুস এমরে ইনস্টিটিউট, তুরস্কের দিনায়েত ফাউন্ডেশন, তুর্কি কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অ্যাজেন্সি। এবং সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, এই সবকটি সংস্থাই তুরস্কের সরকারের মদতে বা অধীনে।
চুপিসারে জারি চিনের উপর ডিজিটাল অভিযান! সবার অজান্তেই আরও চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ দেশে