তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা, সংসদের সামনে বিস্ফোরণ, গুলির লড়াইয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬৫
আঙ্কারা, ১৬ জুলাই : তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় পুলিশ-সেনা সংঘর্ষে অন্তত ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্রোহী ১০৪ জন সেনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন হাজারেরও জনের বেশি মানুষ। এছাড়া হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। [তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার পিছনে রয়েছেন ফতুল্লা গুলেন নামে এই ব্যক্তি!]
তুরস্কের দুই মূল শহর আঙ্কারা ও ইস্তানবুলে চলছে তীব্র অশান্তি, গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আমজনতার মনে। আঙ্কারায় রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বিমান থেকে বোমা ছোড়া হয়। বিদ্রোহী সেনারা দখল নেয় ইস্তানবুল বিমানবন্দরও। এসব জায়গা থেকে সেনা হঠাতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় তুরস্ক সরকারকে।
তুরস্কের সংসদের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। সেনার সদর দফতরে বেশ কয়েকজন আধিকারিককে পণবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। এদিন সেনারা সবকিছুর দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষকেও রেয়াত করা হয়নি।
সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে রাস্তায় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশেও গুলি চালায় সেনা হেলিকপ্টার। তুরস্কের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ও অশান্তির খবর আসছে বলে জানা গিয়েছে। সেনারা দেশের ক্ষমতা তাদের হাতে বলে বিবৃতিও দিয়েছে।
সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করলেও তুরস্কের এরদোগানের সরকার জানিয়েছে, সেনাদের হাতে দেশ যায়নি। ঘটনায় মোট হাজারের বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় তুরস্কের পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।