
স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর এক ছবি! যে কোনও মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে সুনামি
আমেরিকার উপকূলবর্তী অঞ্চলেও জারি হল সুনামি সতর্কতা। ক্যালিফোর্নিয়া, অরেগন, ওযাশিংটন ও আলাস্কায় সুনামির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহওয়াবিদরা। ন্যাশনাল সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

টোঙ্গা দ্বীপে আগ্নেয়গিরির টানা লাভা উদ্গীরনের ফলে যে সুনামি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জেরেই আমেরিকায় জারি হল এই সতর্কবার্তা।
জানানো হয়েছে, ১ থেকে ২ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে আমেরিকাম মূল ভূখণ্ডে। তবে যেহেতু এটির কারণ ভূমিকম্প নয়, তাই সঠিক সময় নির্ণয় করা আবহওয়াবিদদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। যে কোনও মুহূর্তে ভয়ঙ্কর ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলেও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
বিশেষ করে আমেরিকার উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষজনকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রথম ঢেউ খুব বড়সড় না হলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে পরপর ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকবে। আর তাতেই বাড়বে বিপদ। এমনটাই আশঙ্কা। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডেও জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। খুব শক্তিশালী ঢেউ আছড়ে পড়বে সেখানেও। স্যাটেলাইট ইমেজ দেখে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
দ্রুত উপকূলবর্তী এলাকা থেকে স্থানীয় মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সবাইকে নিরাপদে থাকার কথাও বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলের তলায় অবস্থিত হুঙ্গা-টোঙ্গা-হাপাই আগ্নেয়গিরিতে প্রবল একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আর এরপরেই প্রবল অগ্নুৎপাত হতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে আগ্নেয়গিরি থেকে বের হওয়া ছাই, ধোঁয়া, গ্যাস ওই এলাকাকে ঘিরে ফেলে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মুহূর্তের মধ্যে আশেপাশে ২০ কিলোমিটার অঞ্চলকে ঘিরে ফেলে।
একটি ভিডিওয় আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই বেরিয়ে সমুদ্রের জলে পড়তে দেখা গিয়েছে। বৃষ্টি তার সঙ্গে গাঢ় কালো ধোঁয়ায় দিনের বেলাতেই একেবারে অন্ধকার নেমে আসে টোঙ্গাটাপু দ্বীপে। গবেষকরা বলছেন, গত ২০ ডিসেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে ফুঁসতে শুরু করে জলের গভীরে লুকিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরিটি। ধীরে ধীরে তা বড় আকার ধারণ করে।
যদিও কয়েকদিন আগেই কার্যত একটা অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাঝেই মাঝেই এর মধ্যে থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। প্রথমে বিষয়টা বেশ কিছু সময় অন্তর হচ্ছিল। পরে কিছুক্ষণ অন্তরই এই ঘটনা ঘটতে থাকে। এই মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের জেরেই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। বেশ কয়েকটি দেশের কাছে এই ঘটনা বিপদ হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আর সেদিকে তাকিয়ে সবাইকেই সতর্ক থাকার বার্তা। বিশেষ করে এই সমস্ত দেশগুলিতে বিপর্যয় বাহিনীকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অ্যালার্ট দেপুয়ার পরেই কার্যত আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।