মোদীর জনপ্রিয়তায় ভর করে কিভাবে মার্কিন নির্বাচন উতরাতে চাইছেন ট্রাম্প! কী ঘটছে আমেরিকায়
মোদীর জনপ্রিয়তায় ভর করে কিভাবে মার্কিন নির্বাচন উতরাতে চাইছেন ট্রাম্প! কী ঘটছে আমেরিকায়
ভারতের মাটিতে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে অনেকেই সন্দিহান থাকতে পারেন, তবে প্রবাসী ভারতীয়দের ভোট ট্রাম্প নিজের দিকে টানতে মোদীর জনপ্রিয়তাকে যে ব্যবহার করছেন,তা এবার প্রমাণ্য। মার্কিন নির্বাচনের দামামা বাজতেই এবার আমেরিকার বুকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের প্রচার পর্বে নয়া পালক জুড়লেন।
'অবকি বার' এর পর 'ফোর মোর ইয়ার্স'
'অবকি বার মোদী সরকার'এই বার্তা দিয়ে ২০১৪- ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট বৈতরণী পার করেছে বিজেপি। আর দলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা মোদী বসেছেন দিল্লির তখতে। ২০১৪ র থেকে ২০১৯ এ আরও বেশি ভোট নিয়ে তিনি তখত দখল করেছেন। এদিকে, মোদীর সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আমেরিকায় কার্যত 'আব কি বার' এর প্রতিধ্বনিতেই 'ফোর মোর ইয়ার্স' এর বার্তা দিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের প্রচারে মোদীর মুখ
২০১৯ সালে আমেরিকার 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানে মোদী-ট্রাম্পের ক্লিপিংস দিয়ে শুরু হয়েছে ট্রাম্পের ভোট প্রচারের ভিডিও 'ফোর মোর ইয়ার্স'। এরপর ২০২০ সালে ভারতে আয়োজিত ট্রাম্প সফরের ছবিতেও সেখানে মোদী-ট্রাম্পের সখ্যতা তুলে ধরা হয়েছে। আর এই সমস্তই করা হয়েছে আমেরিকায় ভারতীয় ভোটারদের দিকে তাকিয়ে। ফলে বিজেপি নেতার জনপ্রিয়তা যে দেশ পার করে বহু দূরের ভোটকে প্রভাবিত করছে তা বলাই বাহুল্য।
'আমেরিকা ভারতকে সম্মান করে'
এই ভিডিও ক্লিপিং এ দেখা গিয়েছে, ট্রাম্প বলছেন 'আমেরিকা ভারতকে সম্মান করে।' ট্রাম্প সেখানে আরও বলছেন যে 'আমেরিকা ভারতকে ভালোবাসে।' এই সমস্ত বক্তব্য তুলে ধরে ট্রাম্প ফের একবার আমেরিকার তখতে বসতে ভোট প্রচারে নেমেছেন রিপাবলিকানদের তরফে।
কেন মোদীকে প্রয়োজন পড়ল ট্রাম্পের?
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে একমাত্র এশিয় মুখ হিসাবে উঠে এসেছেন মোদী। উল্লেখ্য, এক পরিসংখ্যান গত বিচারে দেখা গিয়েছে যে আমেরিকার নিবাসী ভারতীয়রা মূলত এযাবৎকালে ডেমোক্র্যাটদেরই পছন্দ করেছেন। তহে ধীরে ধীরে তাঁদের পছন্দের তালিকায় রিপাবলিকানরা আসছেন। ফলে এই ভোটব্যাঙ্ক দখল করতে ভারতে বিজপির জনপ্রিয়তা তথা মোদীর জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করছে মার্কিন রিপাবলিকান দল। ট্রাম্প ও মোদীর বন্ধুত্ব বহু ভারতীয়কে ট্রাম্পের দিকে এনেছে বলেও বহু সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
আগের মতোই আছেন প্রণব, উন্নতি হয়নি শারীরিক অবস্থার! আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে সেনা হাসপাতাল