গদিচ্যূত ট্রাম্প ইরান আক্রমণের চেষ্টায় ছিলেন! পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে কোন প্রস্তুতি চলেছে
তিনি কিছুতেই মেনে নিচ্ছেন না যে তিনি এই মুহূর্তে আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নন। দেশের জনমত গিয়েছে জো বাইডেনের পক্ষে, অথচ ট্রাম্প এখনও দাবি করছেন যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বময় কর্তা! এদিকে গদি ধরে রাখার জন্য সমস্ত রকমের চেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। আপৎকাল তৈরি করতে ইরান হামলার কথাও তিনি মাথায় এনেছেন! যাতে গদি কিছুদিন ঠেকিয়ে রাখা যায়।

ইরানে কোথায় হামলার ভাবনা?
জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার বিভিন্ন অপশান নিয়ে আমলাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন গত সপ্তাহে। করোনাকালে যে ভাবনা বিশ্ব শান্তির পক্ষে মারাত্মক ঘটনা হতে পারত! নাটকীয় পদক্ষেপ নেবেন , ভেবেও ট্রাম্প ইরান হামলার পদক্ষেপ থেকে সরে আসেন।

মার্কিন আমলা সূত্রে কোন বার্তা?
মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর বলছে, গত সপ্তাহে মার্কিন জাতীয় নিরপাত্তা সংক্রান্ত অফিসার, ডিফেন্স সেক্রেটারি, জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফদের সঙ্গে ইরানে হামলার বিষয়ে আলোচনায় বসেন ট্রাম্প। কোন কোন পন্থায় ইরানে আক্রমণ শানানো যায়, তার বিষয়ে জানতে চান তিনি।

কেন হামলার ছক!
মূলত, যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হলে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ছাড়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে , এই ভাবনা থেকে এমন হামলার কথা তাঁর মাথায় আসতে পারে বলে মত অনেকের। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে চলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেনের রাস্তা আরও বিপদসঙ্কুল করে দিতেই ট্রাম্প এমন চেষ্টা করে থাকতে পারেন।

কেন ইরানকেই টার্গেট ট্রাম্পের?
রাষ্ট্র সংঘের নথি বলছে, পরমাণু চুক্তিতে বর্ণিত ইউরেনিয়াম মজুতের নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে অনেক বেশি পরিমাণ ইউরেনিয়াম ইরান মজুত করতে শুরু করেছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ অংশই আন্ডারগ্রাউন্ডে রাখছে তারা। যা পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘনের সামিল। প্রসঙ্গত এর আগে ক্ষমতার লড়াইয়ে ইরানের সেনা প্রদান কাশেম সুলেমানিকে ড্রোন হামলায় নিকেশ করে আমেরিকা। তারপর থেকেই ইরান বনাম আমেরিকা সংঘাত তুঙ্গে।
