শ্রীলঙ্কা পাবে নতুন প্রেসিডেন্ট, সংসদে চলছে নির্বাচন
শ্রীলঙ্কা পাবে নতুন প্রেসিডেন্ট, সংসদে চলছে নির্বাচন
লড়াই হবে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কান পদুজনা পেরামুনার ভিন্নমতাবলম্বী এমপি দুলাস আলহাপেরুমার মধ্যে। তাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ সকাল ১০টায় পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হবে। প্রেসিডেন্ট পদে ভোটাভুটির কথা রয়েছে আজকের বৈঠকেই।
শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মনে করেছে, বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন। গতকাল মঙ্গলবার অবস্থান ধরে রাখার জন্য তিনি রাত ৯টা নাগাদ ফোনে ও ব্যক্তিগত আলাপে পার্লামেন্ট সদস্যদের ফোন পান এবং পার্লামেন্টের একটি অংশ তাঁকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিক্রমাসিংহে কয়েকজন সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিরোধী দলের এমপিরাও রয়েছেন তাঁদের মধ্যে। তিনি আশ্বাস দেন তাঁদের নিরাপত্তা ও দেশকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের করে আনার। অন্যদিকে রয়েছেন দুলাস আলহাপেরুমা। তিনি নিজের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী সাজিথ প্রেমাদাসাকে নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের (টিএনএ) বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন। তামিল এমপিদের সমর্থন পেতে এই দুজন গতকাল সন্ধ্যায় এই বৈঠকে গিয়েছিলেন। সাজিথ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান দুলাসের সমর্থনে।
দুলাস ও সাজিথের কাছে হস্তান্তর করা হয় বৈঠকে তামিল এমপিদের নেওয়া পাঁচ দফা দাবি। এ দুজন যদি এসব দাবির সঙ্গে একমত হন, তাহলে টিএনএ এমপিরা দুলাসের পক্ষে ভোট দেবেন তাঁরা এই কথা বলেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে সব রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়া, টিএনএ সূত্রগুলো এমনটাই দাবী করছে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার সরকারকে অবশ্যই রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) জেনেভা রেজল্যুশন মেনে চলতে হবে এটা তাদের মত।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীর দখলে থাকা ভূমি এবং উত্তর-পূর্বে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোসহ সব ব্যক্তিগত ভূমি হস্তান্তর, অফিস অব মিসিং পারসন্সকে (ওএমপি) অবশ্যই নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে পুনরায় তদন্ত শুরু করা এবং তামিলদের জাতীয় ইস্যু সমাধানের প্রক্রিয়া অবশ্যই শুরু করা।
দুলাস ও সাজিথ দুজনই এসব দাবির বিষয়ে একমত হয়েছেন। তবে সাজিথের নিজ দল সঙ্গী জন বালাওয়েগার (এসজেবি) বিষয়টি এত সহজে নেবে না। প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সাজিথের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত এসজেবির অনেক এমপিই ভালোভাবে নেননি।ডেইলি মিরর দাবি করেছে, ফিল্ড মার্শাল সরথ ফনসেকা সাজিথের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তিনি সাজিদকে বলেছেন, যদি জয়ের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী না হন, তাহলে তাঁর উচিত ছিল দলের পক্ষে ফনসেকাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া। কয়েকজন এসজেবি এমপি গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ দুলাসকে ভোট দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন।
জনতা বিমুক্তি পেরামুনার প্রার্থী কুমারা দিসানায়েকেও গতকাল ব্যাপক প্রচার চালিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, নির্বাচিত হলে মন্ত্রীসভার সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০ জনে সীমিত রাখবেন। অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে, রাষ্ট্রপতির ব্যাপক নির্বাহী ক্ষমতার রাশ টানতে এবং দুর্নীতি দমনে পুনরায় পদক্ষেপ গ্রহণে বিদেশি রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সমর্থন চেয়েছেন দিসানায়েকে। তবে গতকাল রাত নাগাদ প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোটের হিসাবে তিনি পিছিয়ে ছিলেন।
Uddhav নিজেই বিজেপি'র সঙ্গে জোটে যেতে চেয়েছিলেন! রাহুলের দাবি ঘিরে বিতর্ক