প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পিছনে অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন
প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হলেও বিভিন্ন দেশে ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে তাঁকে এই দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হলেও বিভিন্ন দেশে ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে তাঁকে এই দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। তবে তাঁর পেছনে প্রতি মাসে গড়ে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। এমনটাই বলছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
জাতীয় সংসদের গত এক বছরের পাঁচটি অধিবেশনের কার্যক্রম নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন পার্লামেন্ট ওয়াচে এই কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি এটি প্রকাশ করা হয়। টিআইবি বলেছে, প্রধান বিরোধী দলের সভাপতিকে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্বের কোনও সরকারি গেজেট পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে, বিশেষ দূত হিসেবে তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে আধুনিক মুসলিমপ্রধান গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং এ দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ঐতিহ্য বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া। মধ্যপ্রাচ্যের জনশক্তি রপ্তানি বাজারের প্রসারে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করা। এই সময়ে বিভিন্ন দেশে ব্যক্তিগত সফর করলেও বিশেষ দূত হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনে ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
টিআইবি বলেছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সরকারি প্রটোকল, বিশেষ ভাতা ও অন্যান্য খাত বাবদ মাসে গড়ে পাঁচ লাখ টাকা সরকারি ব্যয় হয় বিশেষ দূতের পেছনে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইবি বিভিন্ন সূত্রে চেষ্টা করেও এরশাদকে নিয়োগের কোনও প্রজ্ঞাপন পায়নি।
তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহম্মদ শফিউল আলম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এরশাদকে বিশেষ দূত করার বিষয়ে গেজেট আছে।