২৫০ কিলোমিটারের টর্নেডো হানা, হাতির শুঁড়ের মতো পেঁচিয়ে ভাঙল গাছপালা-ঘরবাড়ি
ভরদুপুরেই রাত নেমে এসেছিল যেন। হাতির শুঁড়ের মতো জমাট কালো মেঘ যেন গিলতে আসছিল। পরক্ষণেই তাণ্ডব শুরু করল প্রকৃতি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজ্যে ধ্বংসলীলা চালাল টর্নেডা।
ভরদুপুরেই রাত নেমে এসেছিল যেন। হাতির শুঁড়ের মতো জমাট কালো মেঘ যেন গিলতে আসছিল। পরক্ষণেই তাণ্ডব শুরু করল প্রকৃতি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজ্যে ধ্বংসলীলা চালাল টর্নেডা। শিশু-সহ কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এই টর্নেডোর জেরে। বিধ্বস্ত হয়ে আলবামা ও জর্জিয়ার বিভিন্ন এলাকা। প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
টর্নেডোর ধ্বংসলীলা
আলবামার শেরিফ জেই জোন্স জানিয়েছেন, টর্নেডো ধ্বংসলীলা চালিয়ে গিয়েছে। সেই ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকতে পারে অনেকে। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেই কারণেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
লন্ডভন্ড অবস্থা
রবিবার দুপুর থেকেই দামাল হাওয়া চলছি। তার জেরে গাছপালা, বিদ্যুতের তার লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ১০ হাজারেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। অনেক বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে অনেক যানবাহন।
ঘণ্টায় ১৬৫ মাইল গতিবেগ
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আলবামায় যখন প্রথমবার টর্নেডো আঘাত হানে, তখন ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টা ১৬৫ মাইল বা ২৫০ কিলোমিটার। ঝড়ের সঙ্গে ছিল মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টির জের বানভাসি অবস্থা তৈরি হয়েছে দুই রাজ্যে।
টর্নেডোর হাহাকার
প্রবল বৃষ্টি, টর্নেডোর তাণ্ডব আর বন্যা পরিস্থিতির জেরে বেশ কয়েকজন এখনও নিখোঁজ। টর্নেডোর জেরে হাহাকার শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকে। আত্মীয়-স্বজন, পরিজনরা শশব্যস্ত প্রিয়জনদের খবর পেতে।
টর্নেডোর আতঙ্ক
আলবামা ও জর্জিয়ার সীমানায় ইউফাউলার বিমানবন্দর ও একটি ফায়ারস্টেশন প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্টগোমারিতেও টর্নেডোর সতর্কতা জারি হয়েছে। আলবামা ও জর্জিয়ার ধ্বংসলীলা দেখে আতঙ্কিত প্রতিবেশী রাজ্যের বাসিন্দারাও।
প্রলয়ংকর, টুইট ট্রাম্পের
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি টুইট করেছেন টর্নেডো আর ঝড়ের প্রভাব ছিল সত্যিই প্রলয়ংকর। হয়তো আরও কিছু ঘটতে পারে আশঙ্কা করেন তিনিও।
আবহবিদের টুইট
আবহবিদ এরিক স্নিটিল এক টুইট বার্তায় জানান, ২০১৮ সালের টর্নেডোর থেকেও লি কাউন্টির এই টর্নেডো ছিল ভয়ঙ্কর। মৃত্যু বাড়ছে। ক্ষতিও প্রবল। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে দিন কাটাচ্ছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।