আচমকা সিআইএ দফতরে ইরান বিষয়ে জরুরি বৈঠক কেন সারলেন আমেরিকার উচ্চ আধিকারিকরা?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ঠেকেছে প্রায় তলানিতে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ঠেকেছে প্রায় তলানিতে। গত বছর মে মাসে ইরানের সঙ্গে সাক্ষরিত বহুজাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে নাম তুলে নেয় আমেরিকা এবং মধ্য এশিয়ার দেশটিকে কূটনৈতিক এবং অৰ্থনৈতিক বিচারে কোনঠাসা করার জন্যে উঠে পড়ে লাগে। চুপ থাকে না ইরানও; সোজাসুজি হুঁশিয়ারি দেয় যে তাদের তেল ব্যবসার পথ বন্ধ করা হলে ছেড়ে কথা বলবে না তারাও।
এই তপ্ত পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মার্কিন বাহ্যিক গোয়েন্দা দফতর সিআইএ-র প্রধান কার্যালয়ে ইরানকে কেন্দ্র করে একটি "অস্বাভাবিক" উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়।
আমেরিকার এনবিসি নিউজ-এর মতে, এই অস্বাভাবিক বৈঠকটি ডাকেন খোদ রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্তারা যেমন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিব প্যাট্রিক সানাহান, ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স-এর প্রধান ড্যান কোটস; সিআইএ প্রধান জিনা হ্যাসপেল সহ অনেকে। এনবিসি-র মতে, বৈঠকটি হয় গত ২৯ এপ্রিলের সাতসকালে, ভার্জিনিয়ার ল্যাংলেতে।
সাধারণত হোয়াইট হাউসের আধিকারিকদের সিআইএ দফতরে বৈঠকে দেখা যায় না
বোল্টন বা পম্পিও-র মতো হোয়াইট হাউস-এর বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সিআইএ দফতরে সাধারণত কোনও বৈঠকে অংশ নিতে দেখা যায় না এবং খুব উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও সাধারণত ডাকা হয় হোয়াইট হাউসেই। তাছাড়া, ২৯ এপ্রিলের বৈঠকটি সম্প্রতি ইউএসএস এব্রাহাম লিঙ্কন রণতরীকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো নিয়ে হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। এই মার্কিন রণতরীটির আগমনকে কেন্দ্র করে ইরান প্রতিবাদ জানিয়েছে; দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মনস্তাত্বিক লড়াইতে সামিল হয়েছে।
তবে কি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে ইরানে কোনও চোরা অভিযানের?
এনবিসি জানিয়েছে, তবে কি তাহলে এই বৈঠক ইরানের বিরুদ্ধে কোনও বিশেষ মিশনকে কেন্দ্র করে হয়েছে? ইরানের বিরুদ্ধে কি শুরু হয়েছে কোনও চোরা অভিযান বা তেমনটি কিছু শুরু হতে চলেছে? নাকি ইরানের বিষয়ে হোয়াইট হাউস এবং সিআইএ-র মধ্যে কোনও দ্বিমত দেখা দিয়েছে ?
যদিও সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি কিন্তু গত সপ্তাহের মাঝামাঝি পম্পিও যেভাবে তাঁর ইউরোপ যাত্রা স্থগিত রাখেন ইরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতির কারণে, তাতে অবস্থা যে খুব স্থিতিশীল তা বলা চলে না।