কমছে তেলের উৎপাদন! করোনা সংকটে বিশ্ববাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে ঐতিহাসিক সমঝোতা
দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের ওপেক প্লাস ও অন্য তেল উৎপাদক মিত্রদেশগুলো। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ কমে যাবে এর জেরে। রবিববার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বিষয়ে তারা সম্মত হয়।

সমঝোতার জন্য পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল ওপেক প্লাস
৯ এপ্রিল রাশিয়াসহ তেল উৎপাদক ও মিত্রদের সমন্বয়ে গঠিত ওপেক প্লাস এই সমঝোতার জন্য পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। তবে তাতে বাদ সাধে মেক্সিকো। তবে জানা যাচ্ছে রবিবারের বৈঠকের পর তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে প্রতিটি দেশই।

সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী এই সভায় সভাপতিত্ব করেন
সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান রবিবারের এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভাশেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমরা আবার প্রমাণ করেছি, ওপেক প্লাস জীবিত আছে।' এরপর টুইটবার্তায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কুয়েতের জ্বালানিমন্ত্রী খালেদ আলি মোহাম্মদ বিন ফাদেল।

বৈঠক শেষে টুইট করেন ট্রাম্প
টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, 'ওপেক প্লাসের সঙ্গে বড় চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি খাতের কয়েক লাখ কর্মসংস্থান বাঁচবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানকে ধন্যবাদ জানাই। আমি মাত্র ওভাল অফিস থেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। এটি সবার জন্যই ভালো চুক্তি।'

করোনা প্রাদুর্ভাবে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা কম
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা কমে গেছে ব্যাপকভাবে। মার্চের শেষে ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে তেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে তেলের উৎপাদন কমিয়ে বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা চলছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওপেক প্লাস দেশগুলো প্রতিদিন ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে। ব্রাজিল ও কানাডা কমাবে আরও ৩৭ লাখ ব্যারেল। কিন্তু জি-২০-এর অন্য দেশগুলো এখন কী পরিমাণ তেল উৎপাদন কমাবে, তা জানানো হয়নি।