মৃত মেয়ের হৃদস্পন্দন শুনতে বাবা সাইকেলে পাড়ি দিলেন ২২৫৩ কিমি
মৃত মেয়ের হৃদস্পন্দন শুনতে বাবা পাড়ি দিলেন ২২৫৩ কিমি। মৃত অ্যাবে কনারের হৃদপিণ্ডেই বেঁচে যান লোমন্থ জ্যাক জুনিয়র। আর সেই জুনিয়রের হৃদস্পন্দন শুনতেই ম্যাডিসন থেকে ফ্লোরিডায় পাড়ি বাবা বিল কনারের
মেয়ের হৃদস্পন্দন শুনতেই কিনা বাবা সাইকেলে পাড়ি দিলেন প্রায় ২২৫৩ কিমি। ভিন দেশের এই ঘটনাটি পুরো ঘটনাটি জানলে আপনার চোখেও জল আসতে বাধ্য।
জানুয়ারিতে পুকুরে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ে বছর কুড়ি অ্যাবে কনার এবং তার ভাই। দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অ্যাবেকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
অ্যাবের বাবা বিল চেয়েছিলেন, অ্যাবে বেঁচে থাক কয়েকজনের মধ্যে। তাই মেয়ের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
মস্তিষ্কের মৃত্যু হওয়ায়, অঙ্গ নিতে চিকিৎসকরা তাঁকে রেখেছিলেন লাইফ সাপোর্টের মধ্যে। অ্যাবের বিভিন্ন অঙ্গ দান করা হয় বিভিন্ন বয়সের চারজন পুরুষকে। এঁদেরই একজন হলেন, লোমন্থ জ্যাক জুনিয়র। অ্যাবের হৃদপিণ্ড ছাড়া যাঁর মৃত্যু ছিল অনিবার্য। হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন, অ্যাবে কনারের হৃদপিণ্ড নিয়েই বেঁচে লোমন্থ জ্যাক জুনিয়র।
সেই অ্যাবের হৃদস্পন্দন শুনতেই আমেরিকার ম্যাডিসনের উইসকনসিনের বাড়ি থেকে ১৪০০ মাইল অর্থাৎ প্রায় ২২৫৩ কিমি সাইকেল চালিয়ে বাবা বিল কনার ফ্লোরিডায় গিয়েছিলেন ফাদার্স ডে-র দিন।
বিল এবং জুনিয়র সামনা-সামনি হতেই দুজন-দুজনকে জড়িয়ে ধরেন। এবং মৃত্যুর পর এই প্রথমবার সেই মেয়েরই হৃদস্পন্দন শুনতে পান বিল কনার।
সংবাদ সংস্থাকে বিল কনার বলেন, জুনিয়র বেঁচে অ্যাবের জন্যই। আর অ্যাবে রয়েছে জুনিয়রের অন্তরেই। অ্যাবের হৃদপিণ্ডের মাধ্যমেই জুনিয়র আজ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।