১৭ মিসাইল ছুঁড়ে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বড় বার্তা কিম জং উনের
উত্তর কোরিয়া ১৭টি মিসাইল ছুঁড়ল বুধবার। এর মধ্যে একটি দক্ষিণ কোরিয়ার খুব কাছে এসে থামে। দক্ষিণ কোরিয়ার জল সীমার মধ্যে প্রবেশ করেছিল ওই একটি মিসাইল। এমনটাই জানিয়েছেন ইউন সুক ইয়োল। তিনি বলেছেন যে এটি একটি এলাকাভিত্তিক আক্রমন ছিল।
এটি একটি আর্টিলারি ব্যারেজও ছুঁড়েছিল। বাফার জোনের মধ্যে ছিল ওই আক্রমন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এটা একধরনের হুমকি এবং এটা ব্যাপক রকমের আগ্রাসন মূলক চিন্তা ভাবনা। আসলে এটা ছিল পংগ্যাং-এ যে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা যৌথ অভিযান চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার উত্তর। ওই অভিযান তারা মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না।
জানা গিয়েছে একটি শর্ট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল নর্দার্ন লিমিট লাইন ক্রস করেছে। এর জন্য বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল উল্লেউংডো অঞ্চলের জন্য। এই সতর্কতা দেখানো হয় জাতীয় টেলিভিশনে। এর পরেই ওই এলাকার যারা বাসিন্দা রয়েছেন তাঁদের 'নিকটবর্তী ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে সরে যেতে' বলা হয়। জানা গিয়েছে যে উত্তর সীমারেখা অতিক্রম করেছে স্বল্প পরিসরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। প্রকৃত সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে এই সীমারেখা দুই দেশের মধ্যে। সেখানেই দেওয়া হয় এই সতর্কতা।
তবে এই যে সতর্কতা জারি করা হয় উল্লেউংডো দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য এবং বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়ার কথা বলা হয় তা অত্যন্ত বিরল ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। শেষবার এমনটা হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। সামরিক বাহিনী বলেছে যে কোরিয়ান যুদ্ধের শেষে এমনটা হয়েছিল। প্রথমবার' উত্তর কোরিয়ার উপদ্বীপ ভাগ হওয়ার পরে ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণের আঞ্চলিক জলসীমার এত কাছাকাছি অবতরণ করল।
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে কাছে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি অবতরণ করেছে তা দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ডের মাত্র ৫৭ কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রের জলে। দক্ষিণ কোরিয়াও জবাব দিতে ছাড়েনি। তারা বুধবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জবাব দিতে পরীক্ষা চালিয়েছে আকাশ থেকে সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র।
অক্টোবর মাসেও ক্রুজ মিসাইল টেস্ট করেছিল উত্তর কোরিয়া। বরাবরই তাঁরা নানা কাজ করে থাকে যা অশান্তির বার্তা দেয়। এবার কিম জং উনের দেশ এমন এক ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করল যা অশান্তির বার্তাকে আরও স্পষ্ট করে।ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করে বুধবার কিমের সেনা।
জানা গিয়েছে যে, পরমাণু অস্ত্র বহনের সক্ষম হয় এই ক্রুজ মিসাইল। এটি ২,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। এই পরীক্ষার ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অশান্তির কাল মেঘে ভরতি আশঙ্কা ফের বৃদ্ধি পেয়েছিল তখনই। আর এবার একদম দশটি মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া।