তৃতীয় সন্তানের জন্মে উৎসাহ! প্রতিবেশী দেশে দেওয়া হচ্ছে লক্ষ-লক্ষ টাকার নগদ ও এক বছরের ছুটি
গত বছরের মে মাসে চিনে (china) তিন সন্তানের (three child) নীতিতে অনুমোদন দিয়েছে সেখানকার কমিউনিস্ট সরকার। এখন নাগরিকদের আরও সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে বেসরকারিভাবে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই কোম্পানি তাদের কর্মীদে
গত বছরের মে মাসে চিনে (china) তিন সন্তানের (three child) নীতিতে অনুমোদন দিয়েছে সেখানকার কমিউনিস্ট সরকার। এখন নাগরিকদের আরও সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে বেসরকারিভাবে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই কোম্পানি তাদের কর্মীদের তৃতীয় সন্তানের জন্য নগদ (cash) টাকা দেবে। পাশাপাশি নগদও দেওয়া হবে। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে দম্পতিদের শিশু ঋণ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
চিনের সন্তান নীতি
চিনের এক সন্তান নীতির সমাপ্তি হয় ২০১৬ সালে। দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতিটি শুরু করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এরপর থেকে টানা ৪০ বছরের বেশি সময় পরে ২০২১-এর মে মাসে তিন সন্তারে নীতি ঘোষণা করে চিন সরকার। ২০২০ সালের আদমশুমারির পরেই নাগরিকদের জন্য তিন সন্তানের নীতির অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে সেখানে ১.৪৬৫ কোটি শিশুর জন্ম হলেও ২০২০ সালে চিনে ১.২ কোটি শিশুর জন্ম হয়েছিল।
তৃতীয় সন্তানের জন্য ১ বছর ছুটি ও নগদ টাকা
প্রকাশিত
খবর
অনুযায়ী,
বেইজিং-এর
ডাবেইনং
টেকনোলজি
গ্রুপ
তৃতীয়
সন্তান
নেওয়ার
জন্য
৯০
হাজার
ইউয়ান
অফার
করেছে।
যা
ভারতীয়
মুদ্রায়
প্রায়
১১.৫০
লক্ষ
টাকার
মতো।
নগদ
টাকা
ছাড়াও
সংস্থাটি
মহিলাকর্মীদের
১
বছরের
জন্য
ছুটি
এবং
পুরুষ
কর্মীদের
জন্য
নয়
মাসের
ছুটি
দিচ্ছে।
অন্যদিকে
যেসব
কর্মীরা
প্রথম
সন্তানের
জন্য
৩০
হাজার
ইউয়ান,
যা
ভারতীয়
মুদ্রায়
৩.৫০
লক্ষ
টাকা
এবং
দ্বিতীয়
সন্তানের
জন্য
৬০
হাজার
ইউয়ান
অর্থাৎ
প্রায়
৭
লক্ষ
টাকা
দেওয়ার
কথা
ঘোষণা
করেছে।
বিবাহিত দম্পতিদের শিশু ঋণ
বিশ্বের সব থেকে বেশি জনসংখ্যার দেশে বিবাহিত দম্পতিদের ২০০০০০ ইউয়ান ( ভারতীয় মুদ্রায় ২৩.৫ লক্ষ টাকা) ঋণ দেওয়ার প্রকল্প চালু রয়েছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী চিনে একটি সন্তানকে লালনপালন করতে ৪৯০,০০০ ইউয়ান ( প্রায় ৫৭.৬ লক্ষ টাকা) খরচ হয়ে থাকে। ২০২০ সাল নাগাদ যা চারগুণও হয়ে যা।
লিঙ্গের অনুপাতিক পরিবর্তন
চিনের এক সন্তান নীতির ফলে লিঙ্গ অনুপাতের পরিবর্তন হয়েছে। জনসংখ্যা বৈষম্যের মুখে পড়েছে। এক সন্তান নীতির ফলে গর্ভপাতের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল সেখানে। অন্যদিকে বয়স্ক জনসংখ্যার অনুপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-এর দশকের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১৯৫০-এর দশকের পর থেকে সর্বনিম্নে চলে যায়। ২০১০ সালে যেখানে চিনে তরুণদের আনুপাতিক হার ছিল ১৬.৬ শতাংশ, সেখানে ২০২০ সালে জনসংখ্যার ১৭.৯৫ শতাংশের বয়স ছিল ১৪ কিংবা তার থেকে কম। যে কারণে এক সন্তান নীতিতে পরিবর্তন আনে সেখানকার সরকার।
নির্বাচনের প্রথমবার বঙ্গ সফরে এলেন অমিত শাহ! শুভেন্দু-সুকান্তকে নিয়ে কপ্টারে হিঙ্গলগঞ্জ