চিনকে দুরমুশ করতে এশিয়ায় কোন দেশে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে আমেরিকা!দক্ষিণ চিন সাগর সংঘাত তুঙ্গে
চিনকে দুরমুশ করতে এশিয়ায় কোন দেশে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে আমেরিকা!দক্ষিণ চিন সাগর সংঘাত তুঙ্গে
মার্কিন চিন ঠান্ডা লড়াইয়ের আবহ ক্রমেই উত্তপ্ত হওয়ার দিকে। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আস্ফালন ঠেকাতে কার্যত কোমর বেঁধে নেমেছে আমেরিকা। দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের বিস্তারবাদের শিকার দেশ তাইওয়ান এবার চিনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতেই পাশে পেয়েছে আমেরিকাকে। আর আমেরিকার হাত ধরে সেদেশ কোন মাস্টার প্ল্যানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, একনজরে দেখা যাক।
যুদ্ধবিমান ও আমেরিকা
আমেরিকার লকহিড মার্টিনের নির্মিত যুদ্ধবিমান এবার আসছে এশিয়ার তাইওয়ানের বুকে। সেখানে ৬৬ টি যুদ্ধবিমান নামতে চলেছে। এফ ১৬ এর ৬৬ টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানকে চিনের বিরুদ্ধে পোক্ত করার পাশাপাশি, দক্ষিণ চিন সাগরের মানসিক যুদ্ধে তাইওয়ানকে বল দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোট ৯০ টি যুদ্ধবিমান আসছে!
জানা গিয়েছে, মোট ৯০ টি যুদ্ধবিমান ২০২৬ সালের মধ্যে তাইওয়ানের মাটি ছোঁবে আমেরিকা থেকে। উল্লেখ্য, জর্জ ডাব্লিউ বুশের ছাড়পত্রের পর থেকে এই প্রথম আমেরিকা এই যুদ্ধবিমান বিক্রি করছে তাইওয়ানকে। ১৯৯২ সালে ১৫০ টি অফ ১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে বুশ সরকার ছাড়পত্র দিয়েছে।
চিনের হুঙ্কার
এদিকে চিনের তরফে জানানো হয়েছে, বেজিং চাইছে যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি বন্ধ করুক আমেরিকা। তাইওয়ানকে এভাবে সমরাস্ত্র যোগান থেকে যদি আমেরিকা বিরত না থাকে, তাহলে প্রবল সমস্যার মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পড়তে হবে বলে চিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
চিনকে টেক্কা দিতে তাইওয়ানের পাল্টা মাস্টার প্ল্যান
এদিকে চিনের এই শক্তিকে টেক্কা দিতে এবার প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়াতে চলেছে তাইওয়ানও। গত বছরের নিরিখে প্রতিরক্ষা খাতে এবার ১০ শতাংশ বেশি বরাদ্দ করেছে তাইওয়ান। তাইওয়ান মাত্র ১৩ হাজার ৮২৬ বর্গমাইলের একটা দ্বীপ। আয়তনে চিনের চার শতাংশও হবে না। লোকসংখ্যায় দুই শতাংশেরও কম হবে। তবুও নিজেদের দেশের সার্বভৌমত্ম রক্ষার্থে করোনা আবহেও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাইওয়ান। আর তার জন্য দেশটির বরাদ্দ হতে চলেছে ৪৫৩.৪ বিলিয়ন তাইওয়ানিজ ডলার।
'কাপুরুষতা দেশে চিনকে ঢুকতে দিয়েছে', স্বাধীনতা দিবসের পরদিনই মোদীকে তীব্র আক্রমণে রাহুল