চিন থেকে সাবধান! নেপাল ও দক্ষিণ এশিয়াকে কোন সতর্কবার্তা দিচ্ছেন তিব্বতী নেতা?
গত ৬ দশক ধরে চিনের দখলে তিব্বত। এই একই পরিস্থিতি হতে পারে নেপালের ক্ষেত্রে। ফের সতর্কবার্তা দিলেন তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাঙ্গে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলিকেও একই সতর্কবার্তা দিলেন সাঙ্গে।

সাবধান হওয়ার সময় এসেছে
এদিন সাঙ্গে বলেন, 'দালাই লামা চিরকাল বলতেন যে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। তবে চিন আমেদির সেই সম্পর্কের ভুল ফায়দা তুলেছিল। আমাদের মতো একই পরিস্থিতি হতে পারে নেপাল বা দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলির। এখনই তাদের সাবধান হওয়ার সময়।'

চিনের মাস্টারপ্ল্যান
এর আগে সেন্ট্রাল তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাঙ্গে চিনের বিষয়ে এদিন বলেন, 'চিনা মাস্টারপ্ল্যানের একটি অংশ হল লাদাখ। গোটা হাত দখল করতে নেমেছে চিন। লাদাখ তার একটি আঙুল মাত্র। চিন আসলে ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজি মেনে কার্যকলাপ চালায়। তার একটা ক্ষুদ্র অংশ হল লাদাখ।'

১৯৫০ সালে চিন তিব্বত দখল করে
১৯৫০ সালে যখন চিন তিব্বত দখল করে তখন দেশে 'হিন্দি-চিনি ভাই ভাই' রব। সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে এই বিষয়ে তিনি সতর্ক করেছিলেন। তবে তা গ্রাহ্য করেননি নেহরু। ফল, ১৯৬২ সালে ইন্দো-চিন যুদ্ধ। এরপরও বেশ কয়েকবার ভারত-চিন সীামন্ত পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে।

চিন একটু একটু করে ভারতের ভূখণ্ড দখল করেছে
চিন একটু একটু করে ভারতের ভূখণ্ড দখল করেছে। তবে সেটা ছিল ১৯৬২ সালে। আকসাই চিনের ৩৭,২৪৪ বর্গ কিলোমিটার দখল করে চিন। এরপর ইউপিএ জমানায় ২০০৮ সালে ছবি ও প্যাংনাক উপত্যকায় ২৫০ কিলোমিার ঢুকে যায় চিন। ২০১২ সালে কংগ্রেস জমানায় জোরাওয়ার ফোর্ট ধ্বংস করে সেখানে অবজার্ভিং পয়েন্ট বানায় চিন। ২০০৮ সালে ভারত ডুম চেলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ভারত।

নেপালের এলাকা দখল চিনের
এদিকে লাদাখ নিয়ে চলতি উত্তেজনার মাঝেই নেপাল সীমানায় প্রবেশ করে তিব্বতের দিকে রাস্তা বাড়াচ্ছে চিন। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে সেখানে আউটপোস্ট বসাতে পারে চিন। তিব্বতের দিকে রাস্তা বাড়ানোর কাজ করছে চিন। মোট ১১ জায়গা দিয়ে রাস্তা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ১০টি জায়গায় কমপক্ষে ৩৩ হেক্টর জমি রয়েছে নেপালের।

লাদাখের আকাশসীমায় এবার চিনা ড্রোন! গালওয়ানে পিএলএ-র অবস্থান নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা