মুর্শিদাবাদে সীমান্তের কাছেই জঙ্গি ডেরা, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মৃত ৩
পদ্মার চরে জঙ্গি ডেরা। বাংলাদেশের রাজশাহির সীমান্ত সংলগ্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা নির্মূল করল র্যাব। এখনও পর্যন্ত ৩ জঙ্গির মৃত্যুর খবর মিলেছে।
পদ্মার চরে জঙ্গি ডেরা। বাংলাদেশের রাজশাহির সীমান্ত সংলগ্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা নির্মূল করল র্যাব। এখনও পর্যন্ত ৩ জঙ্গির মৃত্যুর খবর মিলেছে। এদিকে এই অভিয়ানের পর পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:ভারতে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা জানেন কি, বিএসএফের দেওয়া তথ্য জানলে চমকে যাবেন]
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার চর। একেবারে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার অপর পাড়ে। সীমান্ত থেকে দূরত্ব মাত্র দেড় কিলোমিটার। সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার হানা দেয় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার ভিতরে বাগান বাড়িতে জঙ্গিরা আস্তানা গড়ে তুলেছিল। সেই বাড়ির আশপাশে এক কিলোমিটার এলাকায় কোন বসতি নেই।
নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেললে বাড়িটি থেকে গুলি চালানো হয়। আত্মসমর্পণের আাবেদন জানানো হলে, পাল্টা গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরেই বাড়িটি থেকে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরে সেখান থেকে তিনটি ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। এরা সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, তিনটি গ্রেনেড, ডিটোনেটর, পাওয়ার জেল এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে জঙ্গি সন্দেহে দম্পতিসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বাড়ির মালিক রাশিকুল ইসলামের স্ত্রী শামিমা খাতুন ওরফে নাজমা(৪০), নাজমার মা মিনারা(৫৫), বাবা খোরসেদ আলম(৬০) এবং নাজমার ৬ বছর সয়সী শিশু কন্যা তারাবানু।
এলাকাটি নির্জন হওয়ায় জঙ্গিদের কার্যকলাপ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চরআনাতুলি ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেসবাউল হক কালু।
বাড়ির মালিকের দাবি, এনজির নামে বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যাঁরা বাড়িতে ছিল তারা যে জেএমবির সক্রিয় সদস্য, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে বলে আস্তানা গড়ে তোলে জঙ্গিরা।
পদ্মা চরের আস্তার খোঁজ পাওয়া যায় ঢাকার মীরপুরের জঙ্গি বাড়ি থেকে। ৫ সেপ্টেম্বর জঙ্গি আস্তানায় নব্য জেএমবি আবদুল্লাহর নিহত হওয়ার পর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদেই এই আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে অভিযান শুরুর পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে কোনও জঙ্গি পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে।