বিশ্বজুড়ে লোকচক্ষুর আড়ালেই জারি মৃত্যু মিছিল, তালিকা সংশোধন একাধিক দেশে
বিশ্বজুড়ে লোকচক্ষুর আড়ালেই জারি মৃত্যু মিছিল, তালিকা সংশোধন একাধিক দেশে
কমবেশী সকলেই আমরা করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত। এই ভাইরাসের আঁতুরঘর চিন। প্রথম চিন থেকেই এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়াতে শুরু করে। সেখান থেকে এখন প্রায় গোটা বিশ্ব করোনার জেরে জুবুথুবু হয়ে গেছে। চলছে লকডাউন। এরমধ্যেই জানা যাচ্ছে, প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যের বাইরেও করোনার জেরে প্রায় হাজার হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে অথচ হিসেবে নেই সেই সব সংখ্যা।এর পরেই বিভিন্ন দেশ করোনা সংক্রান্ত মৃত্যুর পরিসংখ্যান সংশোধন করে।
তথ্য গোপন নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
চিনের অন্দরে করোনার থাবা নিয়ে সংশয়ের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, করোনা হানা নিয়ে চিন ক্রমাগত তথ্য গোপন করছে। যে ভাইরাস মানব সভ্যতার প্রতি বড় ত্রাস হয়ে উঠছে, সেই ভাইরাসকে নিয়ে চিনের অবস্থান স্পষ্ট নয় বলে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও। শুধু চিন নয়, রাশিয়া, ইরানের দিকেও করোনা নিয়ে তোপ দেগেছেন মাইক পম্পেও। তাঁর দাবি এই সমস্ত দেশ করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে বহু তথ্য গোপন করছে।
মৃতের তালিক সংশোধন চিনেও
এত বিতর্কের পরেই গত সপ্তাহে কোভিড-১৯'এ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সংশোধন করে চিন। সংশোধনের পরেই দেখা যায় পূর্বে প্রকাশিত তথ্যের থেকে মৃতের সংখ্যা ১,২৯০জন বা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই মৃত্যু সম্পর্কে চিন আগেই অবগত ছিল কিনা তা প্রমাণ সাপেক্ষ। চিনের তথ্য গোপনের খোঁজ মেলার পরেই গত দুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বাকি দেশ গুলিকেও করোনায় মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা পুনরায় সংশোধন করতে বলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেনেও সংশোধনের পর পাওয়া যাচ্ছে নতুন হিসেব
এদিকে চিনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেনের মত দেশ গুলিও তাদের সরকারি ভাবে প্রকাশিত তথ্যকে একধরনের 'আন্ডার রিপোর্টিং' বলে স্বীকার করে নিয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা গণনা হলেও বাড়িতে বা অন্যান্য জায়গায় করোনায় মৃতের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবেনা। নিউইয়র্কে মৃতের সংখ্যা সংশোধনের পর প্রায় ৫৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, প্রকাশিত তথ্যের বাইরেও বিভিন্ন দেশে করোনায় প্রায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।