স্ত্রীর সম্পত্তি বিতর্ক হোক বা সংসদে গীতা ছুঁয়ে শপথ, ২০২০ সালে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে ঋষি শৌনক
স্ত্রীর সম্পত্তি বিতর্ক হোক বা সংসদে গীতা ছুঁয়ে শপথ, ২০২০ সালে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে ঋষি শৌনক
বর্তমানে নয়া করোনা স্ট্রেনের আগমণে ফের খবরের শিরোনামে এসেছে ব্রিটেন। এমনকী নয়া করোনা আতঙ্কের জেরে আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনশনের ভারত সফর ঘিরেও শুরু হয়েছে দোলাচল। এমতবস্থায় শুধু করোনা না, আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তির কারণে ২০২০ সালে একাধিকবার খবরের শিরোনামে এসেছে ব্রিটেন।
২০২০ সালে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে ঋষি
গত এক বছরে কখনও আর্থিক জটিলতা হোক বা সামাজিক ইস্যু, বিভিন্ন কারণে সাংবাদ শিরোনামে না এসেছে এই ব্রিটিশ ধনকুবেরের। এই ধনকুবের আর কেউ নন, স্বয়ং ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির জামাই তথা ব্রিটিশ চ্যান্সেলার ঋষি শৌনক। স্ত্রীর 'হিসাব-বহির্ভূত' সম্পত্তি হোক বা ব্রিটিশ সংসদে গীতা ছুঁয়ে শপথ, ২০২০ সালের ভালোমন্দ সবরকমের খবরেই বারংবার উঠে এসেছে ঋষি শৌনকের নাম। আসুন সেইসব ঘটনা দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
সম্পত্তির নিরিখে রাণী এলিজাবেথকে ছাপিয়ে গেলেন শৌনকের স্ত্রী
ব্রিটেনের আইনানুযায়ী, সমস্ত মন্ত্রী এবং চ্যান্সেলরদের সম্পত্তি সংক্রান্ত তদন্ত চলাকালীন স্ত্রীর সম্পত্তির বিষয়ে বিশদে জানাতে অপারগ হন ঋষি শৌনক। যদিও ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমের তদন্তের রিপোর্টে আঁতকে ওঠেন সকলেই। রিপোর্ট মোতাবেক, শৌনকের স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা যা ব্রিটেনের রাণীর সম্পত্তির থেকেও ৮০০ কোটি বেশি! এরপরেই শিরোনামে উঠে আসেন ঋষি শৌনক।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গীতায় শপথ
এদিকে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির উজ্জ্বলতম নক্ষত্র বলে বরাবরই বিবেচিত হন ঋষি শৌনক। আর এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের অভূতপূর্ব কাণ্ডে চলতি বছরেই সারা জাগে ভারতীয়দের মধ্যে। প্রথমবারের জন্য সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যখন শপথগ্রহণে এগিয়ে যান ঋষি, তখন বাইবেলের বদলে গীতাকে বেছে নেন তিনি। পাশাপাশি নিজেকে 'গর্বিত হিন্দু' বলে পরিচয় দেন ব্রিটেনের এই ধনকুবের।
কোভিড নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ঋষির
২০১৫ সালে ব্রিটেনের 'চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার' পদে আসীন হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি শৌনক। কোভিডের সময়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। বেকারত্ব সমস্যা, ঋণশোধ ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সহ একাধিক খাতে একত্রে মোট ২০,০০০ কোটি পাউন্ড অনুমোদন করেন ঋষি। অর্থনীতির বেহাল দশার মাঝেও সুদক্ষ কৌশলের মাধ্যমে যেভাবে আর্থিক সাহায্য দিতে সক্ষম হন ঋষি, তাতে অনেকেই তাঁকে ব্রিটেনের আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও বিবেচনা করতে শুরু করেছেন।
ব্রিটেনে সন্ত্রাসদমনে ঋষি
বিশ্বের মধ্যে প্রথমবার বিশেষ সন্ত্রাসদমনকারী কেন্দ্র (সিটিওসি) -এর কথা ঘোষণা করে সারা ফেলে দেন ঋষি শৌনক। ব্রিটেনে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিশেষ সিটিওসি গঠনের মাধ্যমে ২০২৩-এর মধ্যে অতিরিক্ত ২০,০০০ পুলিশ দেশে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন ঋষি। এর জন্য প্রায় ৪০ কোটি পাউন্ড অনুমোদন করেন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী। এমন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কারণে আলোচনার কেন্দ্রে আসেন ঋষি শৌনক।
করোনা আক্রান্ত ব্রিটেনের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ঋষির দাওয়াই
করোনা আবহে যেভাবে বিদ্ধস্ত হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব, তার মাঝেই ব্রিটেনকে ফের চাঙ্গা করতে নতুন উদ্যমে মাঠে নামেন অর্থমন্ত্রী ঋষি শৌনক। ব্রিটেনের আভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোর উন্নয়নে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার অনুমোদন করে সাড়া ফেলে দেন ঋষি। আগামী ৩০ বছরে করোনাজনিত ক্ষয়ক্ষতিকে শূন্যে নামিয়ে আনার প্রচেষ্টার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে অর্থনীতির উপর জোর দেন ঋষি। তাঁর এই কৌশলগত অবস্থানের কারণেই বাকিদের থেকে আলাদাভাবে চেনা যায় ঋষি শৌনককে।
২০২০ নিউজ মেকার: অর্ণব গোস্বামী সম্পর্কে কিছু ঘটনা একনজরে