এখনই ঘুরে দাঁড়াবে লঙ্কা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা! নয়া সরকার গঠনের ইঙ্গিত রাষ্ট্রপতির
শ্রীলঙ্কার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মহিন্দ্র রাজাপক্ষে। এই পরিস্থিতির শেষ কোথায় কেউ জানে না। এই অবস্থায় ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে পরিস্থিতি। আজ বুধবার নতুন করে উত্
শ্রীলঙ্কার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মহিন্দ্র রাজাপক্ষে। এই পরিস্থিতির শেষ কোথায় কেউ জানে না। এই অবস্থায় ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে পরিস্থিতি। আজ বুধবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে লঙ্কাতে। তবে রাজাপক্ষের পদত্যাগের শ্রীলঙ্কার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলেই মনে করছেন শ্রীলঙ্কার বিশেষজ্ঞরা।
আসলে রাজাপক্ষে পদত্যাগ করার আগে এবং পরে পরিস্থিতিতে অনেকটাই বদল ঘটেছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত সোমবার দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বহু মানুষের ভিড়। রাজাপক্ষ পদত্যাগ করুক চাই ছিলেন না শ্রীলঙ্কার একাংশের মানুষ। সেই দাবি নিয়েই ভিড় জমেছিল। সরকারের বিরুদ্ধে যারা বিক্ষোভ করছেন তাঁদেরকে লোহার রড দিয়ে পেটাতেও দেখা যায় একদল মানুষকে।
এরপর সমর্থকদের দাবি না মেনেই পদত্যাগ করেন রাজাপক্ষে। এরপর মঙ্গলবার তাঁর ভাই গোটাবা রাজাপক্ষ নির্দেশ দেন, পুলিশ চাইলে যে কোনও আক্রমণকারীকে গুলি করতে পারে।
শুধু তাই নয়, সরকারি সম্পত্তিতে হামলা চালালে বিক্ষোভকারীদের গুলি করা যাবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এরপরেই দেখা যায় রাজাপক্ষ প্রচুর সম্পত্তি একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। গত এক দশক ধরে রাজাপক্ষের পরিবার শ্রীলঙ্কার রাজনীতি পরিচালনা করছে। তাঁদের পরিবার সম্মান এবঙ্গ ভয় নিয়েই দিন কাটিয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কার মানুষ। আর তাই রাজাপক্ষের পদত্যাগের পরেই দেখা যায় তাঁর বাবার নামে উৎসর্গ করা মিউজিয়ামও গুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। কার্যত চাপা ক্ষোভ থেকেই এহেন ঘটনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শ্রীলঙ্কার কলম্বো বিশ্ব-বিদ্যালয়ের রাজনীতির বিশ্লেষক Jayadeva Uyangoda বলছেন, এটাই ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। তিনি মনে করছেন, আস্তে আস্তে মানুষের মন বদলাতে শুরু করেছে। ক্রমশ রাজাপক্ষ এবং তাঁর সমর্থকদের উপর মানুষের ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে বলে মনে করছেন ওই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এমনকি মানুষের রাজনৈতিক অবস্থানও পাল্টাতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে Jayadeva Uyangoda আরও বলছেন, শ্রীলঙ্কার প্রেক্ষাপটেও অনেক কিছুতে বদল আসবে।
অন্যদিকে খুব শিঘ্রই নতুন সরকার গঠনের কথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষ। আজ বুধবার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। গোটাবায়া রাজাপক্ষ জানান, এই সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা নিয়োগ করা হবে। যারা সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে এবং দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে তাঁদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। না হলে দেশের অর্থনীতি আরও ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষের।