তৃতীয় দফায় ৮১ উপজেলায় ভোট শনিবার, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম ও দ্বিতীয় দফার উপজেলা নির্বাচনে খারাপ ফল করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের কাছে তাই চ্যালেঞ্জ হল, তৃতীয় দফার ভোটে ঘুরে দাঁড়ানো। আর বিএনপি-র কাছে চ্যালেঞ্জ, গত দুই পর্বের আশাব্যঞ্জক ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য, শনিবারের ভোটে ভালো ফল হবে। কারণ যে সব উপজেলায় এই দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে, সেইগুলি আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। আওয়ামী লীগই বছরের পর বছর এখানে একচেটিয়া জিতে আসছে। পাশাপাশি, শাসক দল আওয়ামী লীগ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচনে শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে। কারণ পান থেকে চুন খসলে সেই সুযোগে আন্দোলনে নেমে পড়বে বিএনপি-জামায়ত জোট। তাদের হাতে এত সহজে ইস্যু তুলে দিতে চায় না আওয়ামী লীগ।
তবে তৃতীয় দফার উপজেলা নির্বাচনে যথারীতি দুই যুযুধান দলের চিন্তা হল গোঁজ প্রার্থী। বিক্ষুব্ধরা দাঁড়িয়ে গিয়েছেন গোঁজ প্রার্থী হিসাবে। এঁরা কতটা ভোট কাটবেন, সেটা নিয়ে চিন্তা থাকছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো আওয়ামী লীগের আরও চিন্তার কারণ হল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার উপজেলা নির্বাচনে তারা যে ভালো ফল করতে পারেনি, তার অন্যতম কারণ হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শেখ হাসিনা যতই হুঁশিয়ারি দিন, লাভ কিছুই হয়নি।
এদিন বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, শনিবারের উপজেলা ভোটে কোনও অশান্তি হলে দায়ভার নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। দায়ী হবে আওয়ামী লীগও। কারণ ভোটের আগে উপজেলাগুলিতে আওয়ামী লীগ গুন্ডাগিরি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
যে জেলাগুলির অন্তর্গত উপজেলাগুলিতে শনিবার ভোট নেওয়া হবে, সেইগুলি হল ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট, খুলনা, বরিশাল, পিরোজপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালি, রাঙামাটি ইত্যাদি। এই পর্যায়ে ৮৩টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা এবং সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন অনিবার্য কারণবশত স্থগিত রাখা হয়েছে।
তৃতীয় দফায় কোন কোন উপজেলায় ভোট, দেখতে ক্লিক করুন এখানে