কার্গো ট্রেনে চোরের দাপট, মহা সমস্যায় আমাজন ফেডএক্স
চোরেদের হামলায় বিপর্যস্ত লস এঞ্জেলসের মালগাড়ি। প্রত্যেক দিন ট্রেন থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকার জিনিস। জানা গিয়েছে এসব জিনিসই অনলাইন প্রোডাক্ট ডেলিভারি সংস্থার। এসবই প্রত্যহ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরের দল।
বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটে রাতের বেলা কিংবা ফাঁকা স্টেশনে। চোরের দল ট্রেনের টাইম জেনে গিয়েছে। ঠিক সময় মতো তারা এসে লুকিয়ে থাকে চত্বরে। সুযোগ বুঝে শুরু হয়ে যায় চুরি। চুরি করার পর ওই প্যাকিং রেল ট্র্যাকে ফেলে দিয়ে চম্পট দিচ্ছে তারা। এই ঘটনার ফলে বহু মানুষ তাঁদের অর্ডার করা জিনিস আর হাতে পাচ্ছে না।
সম্প্রতি সিটি সেন্টার স্টেশনের রেল ট্র্যাক থেকে প্রচুর প্যাকিং করার প্লাস্টিক খুঁজে পাওয় যায়। দেখা যায় এগুলি সবই কোনও না কোনও অনলাইন বিপননি সংস্থার। তালিকায় রয়েছে বেশ আমাজন, টার্গেট, ইউপিএস, ফেডএক্স সংস্থার জিনিস। বেশ কিছু ক্যুরিয়ারও। তাদের যে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বেশ কিছু মাস ধরেই, কারণ তারা তাদের বিক্রি হওয়া জিনিস জায়গায় না পৌছানোয় টাকা পাচ্ছিল না। এবার এর কারণ নজর এসেছে ঘটনা।
জানা গিয়েছে, স্টেশনে মালগাড়ি এলেই তারা অপেক্ষা করছে। তারপর ধীরে ধীরে সময় বুঝে ঢুকে যাচ্ছে ট্রেনের ভিতরে। শুরু হচ্ছে লুটপাট। কার্যসিদ্ধি করে পালাচ্ছে তারা।
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। ২০২০ সালে লস এনজেলসে এমন চুরির ঘটনা ১৬০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। ২০২১ সালে তা ৩৫৬ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে প্রতিদিন গড়ে ৯০ টি এমন সিল করা জিনিস চুরি হয়েছে। এই তথ্য আসার পর শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসেছে ইউনিয়ন প্যাসিফিক।
তারা জানিয়েছে , নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হবে। চোর ধরতে ড্রোন ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও গত তিন মাসে এমন চুরির জন্য পুলিশ ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে, তারপরেও কোনও সুরাহা হয়নি। এবার জোরকদমে চুরি আটকাতেন নামছে পুলিশ প্রশাসন।