বাইডেন সরকারে ১১ পোড়খাওয়া আমলা! ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড়সড় প্রভাবের সম্ভাবনা
বাইডেন সরকারের এই ১১ আমলার হাতেই আগামীতে বদলাতে পারে ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
বুধবারই আমেরিকার রাজনীতির ময়দানে তৈরি হল নতুন ইতিহাস। বুধবারই আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে মসনদে বসলেন জো বাইডেন। এদিকে ট্রাম্পের বিদায়ে ও বাইডেনের আগমনে স্বভাবতই খুশি মার্কিন ডেমোক্র্যাটরা। তবে ভারতীয়রাও যে খুব খুশি নন, এমনটা নয়। মন্ত্রীসভা সহ বাইডেনের হোয়াইট হাউস টিমের জন্য রাষ্ট্রপতি স্বয়ং যে আধিকারিকদের বেছে নিয়েছেন, তার মধ্যে ভারতীয় মুখের সংখ্যা যে খুব একটা কম নয়, তা এতদিনে জেনে গেছে গোটা বিশ্ববাসী। এখন দেখার এই যে, মার্কিন সেনেটে পোড়খাওয়া আধিকারিকদের উপস্থিতি ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়।
চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে ভারতের সহায়তা
এদিকে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের উন্নতিতে 'সেক্রেটারি অফ স্টেট' হিসেবে জো বাইডেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ভূমিকা সম্বন্ধে আশাবাদী রাজনৈতিক মহল। রাজ্য দফতরের এই আধিকারিক ওবামা জমানায় সামলেছেন জাতীয় সহ নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব। তাঁর মতে, "ওবামা ও ট্রাম্পের সময়কালে যেভাবে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে, তাতে আগামীতেও প্রশান্ত মহাসাগরে চিন আগ্রাসন ঠেকাতে, এমনকী জঙ্গি বিশ্বব্যাপী জঙ্গী দমনেও ভারতকে আমরা পাশে পাব বলে আশা করি।" মার্কিন বৈদেশিক নীতির সুফলেরই ফসল যে এই সম্পর্ক, তাও জানিয়েছেন অ্যান্টনি। অন্যদিকে 'ট্রেজারি সেক্রেটারি' হিসেবে জেনেট ইয়েলেনও যে গুরুত্বপূর্ণ, তা জানিয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা।
জাতি-ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে নতুন রূপে বাইডেন সরকার
মার্কিন সূত্রের খবর, 'ডিফেন্স সেক্রেটারি' পদে প্রথম কালো চামড়ার নাগরিক হিসেবে আসীন হতে চলেছেন লয়েড অস্টিন। আগামীতে আমেরিকা ও ভারত যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সন্ত্রাসদমনে অগ্রণী ভূমিকা নেবে, তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে অস্টিনের বক্তব্যে। অন্যদিকে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে 'অন্তর্দেশীয় নিরাপত্তা সেক্রেটারি' আলেযান্দ্রো মায়রকাসের ভূমিকার কথাও আঁচ করছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি 'হোয়াইট হাউস চিফ অফ স্টাফ' হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতিকে বিদেশনীতি নির্ধারণে সঠিক পথেই এগিয়ে দেবেন রন ক্লেইন, ধারণা মার্কিন রাজনীতিকদের।
'প্যারিস জলবায়ু চুক্তি'-তে ফিরছে আমেরিকা
এদিকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি-তে পুনরায় আমেরিকার নাম দেখা যাবে, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইডেন। সেই ক্ষেত্রে আর এক পোড় খাওয়া আমলা জন কেরির ভূমিকা যে বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য তা মানছেন সকলেই। অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জেক সুলিভান। সূত্রের খবর, হিলারি ক্লিন্টনের সময়কালে 'ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ' ছিলেন জেক সুলিভান। হিলারির ভারত পরিদর্শনের সময়ে যেরকম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জেক, তাতে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক বন্ধনের ক্ষেত্রে জেককে নিয়ে আশাবাদী আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা।
ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে পারেন এই আধিকারিকেরাও
আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ডিরেক্টর অ্যাভৃল হেইন্স, সিআইএ অধিকর্তা উইলিয়াম বার্নস, পরিচালনা ও বাজেট দফতরের অধিকর্তা নীরা ট্যান্ডেন ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন টাই ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে দৃঢ় করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করতে পারেন বলে ধারণা ভারতীয় কূটনীতিকদের। এই চার জন আমলার মধ্যে নীরা ট্যান্ডেন আবার ইন্দো-আমেরিকান নাগরিক, যিনি ওবামার শাসনকালে মার্কিন কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যনীতির ক্ষেত্রে ক্যাথেরিনের দায়িত্বও যে মারাত্মক, তা ভুলছেন না ভারতীয় রাজনৈতিক বোদ্ধারা।
আজ ফের পোঙ্গল থুলাসেন্দ্রপুরমে, কমলা হ্যারিসের শপথের আগেই শুরু ২০২৪-এর প্রার্থনা