করোনাকে বাগে আনতে নেই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন! হু-র বার্তায় ফের ঘনাচ্ছে আশঙ্কার কালো মেঘ
ভ্যাকসিনের আগমণেও এত সহজে কাটবে না করোনা সঙ্কট! শঙ্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বছর শেষের আগেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুনরায় হানা দিচ্ছে মারণ করোনা। ভাইরাসের অভিযোজিত রূপে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিষেধক প্রস্তুতির গবেষণাও। এমতাবস্থায় হু-এর সাম্প্রতিক ঘোষণায় আশঙ্কার কালো মেঘ আর একটু ঘন হল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। করোনাকে বাগে আনার জন্য আগামী ৩-৬ মাসের মধ্যে যথেষ্ট ভ্যাকসিন প্ৰস্তুত যে সম্ভব নয়, তা আরও একবার স্পষ্ট করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
হু-এর বক্তব্যে চাঞ্চল্য
সম্প্রতি হু-এর উচ্চপদস্থ অধিকারিক মাইক রায়ান জানিয়েছেন যে, আগামী তিন থেকে ছয়মাসের মধ্যে করোনার ব্যাপকতা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত প্রতিষেধক পাওয়া মুশকিল। হু-এর তরফে এও জানান হয়েছে যে, "এখনই করোনাকে হালকা চালে নিলে মুশকিল, শারীরিক দূরত্ব বজায় ও মাস্ক পরা নিত্যদিনের জীবনের অংশ করে নিতে পারলেই মঙ্গল।"
বিধিনিষেধ আরও আঁটোসাঁটো করল হু
বুধবার হু-এর তরফে আরও জানান হয়েছে, " কমপক্ষে ১মিটারের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলেও ১২ বছরের উর্দ্ধের সমস্ত নাগরিকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এমনকী এই জন্য প্রতিটি দেশকে প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের করতে হবে।" অন্যদিকে মহামারী সম্পর্কে বলতে গিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, "আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই অদৃশ্য শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাব এবং এই যুদ্ধে গবেষকরা আমাদের অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছেন।"
অত্যধিক আশাবাদী না হওয়ার বার্তা জনসনের
এখনও পর্যন্ত মডার্না, ফাইজার, অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, বায়োএনটেকের মত সংস্থার দৌলতে করোনা দূরীকরণের লক্ষ্যে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছেন করোনা গবেষকরা। যদিও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটেনের নাগরিকদের 'অধিক আশাবাদী' না হওয়ার বার্তাই দিয়েছেন। হু-এর বিধিনিষেধ মেনে চলার পক্ষেই কাজ করে চলেছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ, খবর আন্তর্জাতিক সূত্রের।
সাবধানতাই করোনা মুক্তির একমাত্র পথ
অন্যদিকে ব্রিটেন সরকারের তরফে জানান হয়েছে, সম্ভাব্য ভ্যাকসিন স্থির হলেই সবার আগে ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের সেই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। এদিকে অন্য একটি সূত্রে খবর, ডিসেম্বর থেকেই ব্রিটেনে ফাইজারের করোনা টিকার প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, "আমরা শীতকালীন কৌশল ঠিক করেই করোনা যুদ্ধে এগোচ্ছি এবং আমি আশা করি যে সামনের কয়েকটা মাস বিশ্ববাসী সকল রকমের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখবেন।
কৃষক আন্দোলনেও 'টুকরে টুকরে গ্যাং'! বিতর্কিত দাবি বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারির