রয়েছে ডেল্টা ভয়, সঙ্গে দ্রুত টিকাকরণে জোর! ফের ১ মাসের লকডাউন জারি ব্রিটেনে
করোনার নয়া ভ্যারিয়্যান্টের আতঙ্কের কারণেই ফের ১ মাসের লকডাউন ব্রিটেনে
এখনও
বিশ্বজুড়ে
একাধিক
দেশে
চোখ
রাঙাচ্ছে
করোনার
ডেল্টা
স্ট্রেন।
আর
তাতেই
শঙ্কিত
ব্রিটেন।
বিশ্ব
স্বাস্থ্য
সংস্থার
তরফে
গত
মাসেই
এই
বি.১.৬১৭.২
স্ট্রেনকে
উদ্বেগজনক
ভ্যারিয়েন্ট
বলে
চিহ্নিত
করা
হয়েছে।
এমতাবস্থায়
আগামী
১৯
জুলাই
পর্যন্ত
ব্রিটেনে
লকডাউনের
মেয়াদ
বাড়ানো
হল।
লকডাউনের
মেয়াদ
বাড়ার
পিছনে
ডেল্টা
ভ্যারিয়ান্ট
ছড়ানোর
আশঙ্কার
কথাই
মূলত
বলা
হলেও,
সামগ্রিকভাবে
সতর্কতাকেই
প্রাধান্য
দিল
ব্রিটেন।
এদিকে করোনার প্রথম ঢেউয়ের ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি লকডাউন তুলে নিয়ে ব্রিটেন যে ভুলটা করেছিল এই ক্ষেত্রে তারা আর সেই ভুল করতে চাইছে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে বর্তমানে বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে ডেল্টার পা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেদেশের পরিস্থিতি যে দিকে এগোতে শুরু করে তাতে লকডাউন তোলার ক্ষেত্রে রীতিমতো ভাবনা চিন্তা শুরু করতে বাধ্য হয় বরিস প্রশাসন। তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল লকডাউন মেয়াদ আরও প্রায় ১ মাস পর্যন্ত বাড়তে পারে। যদিও লকডাউন বৃদ্ধির পিছনে আরও একটা বড় কারণ হল দেশের টিকাকরণ, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
৭৫ দিনে দেশে সর্বনিম্ন করোনার দৈনিক সংক্রমণ, স্বস্তি দিচ্ছে নয়া পরিসংখ্যান
আগামী ১ মাসের মধ্যে দেশের দুই তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই দিতে চাইছে জনসন প্রশাসন। দেশের পঞ্চাশোর্ধ সব নাগরিকেই ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই দেওয়া হয়ে যাবে বলেও তাদের তরফে জোরালো দাবি করা হয়েছে। আর এই মাস খানিক ঘেরাটোপে থাকলে গোটা দেশই বেশ খানিকটা নিশ্চিন্ত হতে পারে বলে মত সকলেরই। যদিও করোনার প্রকোপ কমে আসায় ইতিমধেযেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ প্রায় তুলেই নেওয়া হয়েছে। সেখানে এখনও লকডাউন জারি রেখে নজির তৈরি করছে ব্রিটেন।