ইতিহাসে প্রথমবার! Liz-এর মন্ত্রিসভায় উচ্চপদে থাকলেন না কোনও শ্বেতাঙ্গ
ব্রিটেনের বুকে তৈরি হয়েছে নয়া ইতিহাস! সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন Liz Truss। আর এরপরেই কার্যত এক নজির গড়েছেন তিনি। Liz এমন সরকার গঠন করেছেন যেখানে দেশের বড় চারমন্ত্রকের দায়িত্বে কোনও White Man নেই। অনেক
ব্রিটেনের বুকে তৈরি হয়েছে নয়া ইতিহাস! সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন Liz Truss। আর এরপরেই কার্যত এক নজির গড়েছেন তিনি। Liz এমন সরকার গঠন করেছেন যেখানে দেশের বড় চারমন্ত্রকের দায়িত্বে কোনও White Man নেই। অনেকে বলছেন গত কয়েক বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখাননি কেউই। ফলে ব্রিটেনের ইতিহাসে এমন সিদ্ধান্ত অনেকেই ইতিহাস বলেই ব্যাখ্যা করছেন।
রয়টার্সে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ট্রাস ব্রিটেনের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অর্থমন্ত্রী হিসেবে কোয়াসি কোয়ার্টেংকে (Kwasi Kwarteng) ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর বাবা-মা ১৯৬০ এর দশকে ঘানা থেকে ব্রিটেনে চলে এসেছিলেন। অন্যদিকে জেমস ক্লেভারলিকে (James Cleverly) ব্রিটেনের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ বিদেশ সচিব হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ক্লেভারলি'র মা সিয়েরা লিওন থেকে এসেছিলেন। যদিও তাঁর বাবা White Man ছিলেন বলেই জানা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিপীড়িত মানুষের কথা বলে এসেছেন জেমস ক্লেভারলি। এমনকি কালো ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পার্টির আরও কঠোর পরিশ্রম করা উচিত বলে বহুবার মুখ খুলেছেন।
অন্যদিকে সুয়েলা ব্রাভারম্যানের বাবা-মা কেনিয়া এবং মরিশাস থেকে ব্রিটেনে এসেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েক দশক ধরেই ব্রিটিশ সরকারে শ্বেতাঙ্গ অর্থাৎ White Man দের একটা আধিপত্য ছিল। ২০০২ সালে ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো মাইনোরিটির একজনকে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির অনেকটাই বদল হয়।
বলে রাখা প্রয়োজন, মঙ্গলবার রানি এলিজাবেথের (দ্বিতীয়) সঙ্গে দেখা করেন Liz Truss। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কার্যভার বুঝে নেওয়ার আগে এই সাক্ষাৎ ছিল এই প্রক্রিয়ারই অংশ। এর আগে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মহারাণী এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবং তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
রানির এই মুহূর্তে কোথাও যাওয়া আসার মতো পরিস্থিতি নেই। আর তাই এই সাক্ষাৎ লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের পরিবর্তে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে হয় বলে জানা যায়। বলে রাখা প্রয়োজন, দীর্ঘদিন পর রানি Liz Truss-এর সঙ্গে দেখা করতেই প্রকাশ্যে এলেন।
আর এই সাক্ষাৎ শেষ করেই একেবারে পাকাপাকি ভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ শুরু করে দেন Liz Truss। এরপরেই সরকার গঠন নিয়ে একটা নজির তৈরি করলেন। ইতিমধ্যে এই কাজের জন্যে একাধিক জায়গা থেকে প্রশংসা করা হয়েছে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে Liz Truss- কে।