
USA সেনাবাহিনী ফিরে গিয়েছে, ATM-এর বাইরে ভীত সন্ত্রস্ত মানুষের লম্বা লাইন কাবুলে
২০ বছরের যুদ্ধ শেষ, সোমবার আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গিয়েছে আমেরিকার সৈনরা! এরপর কী! কোন ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে আফগানিস্তানের মেয়েদের জন্য! সাধারণ মানুষও কতটা সুরক্ষিত আফগানিস্তানে! হাজারও ভয় ও প্রশ্নের মাঝেই বাঁচছে তালিবান অধ্যুষিত আফগানিস্তান।

এ কোন সকাল!
তালিবানরা আফগানিস্তানে ফিরে এসেছে এরকম সকালে ঘুম থেকে উঠেছে সে দেশের মানুষ। শেষ আমেরিকান সেনাবিমান সি-১৭ কাবুল ছাড়ার মুহূর্ত থেকেই দেশ জুড়ে জয় উদযাপন শুরু করেছে তালিবান ও সমর্থকরা। ৩০ আগস্ট রাত ১২ টা বাজার আগেই কাবুল থেকে শেষবারের মতো উড়ান শুরু করে আমেরিকার সি-১৭ বিমান৷তারপর আফগানিস্তানের সবকিছুর বিধাতা তালিবানরাই৷ ক্ষমতায় এসেই মেয়েদের জন্য একাধিক ফতোয়া জারি করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি৷

ATM এ লম্বা লাইন কেন?
স্বাভাবিকভাবেই কাবুল সহ সারা দেশে ছিল অনিশ্চয়তার পরিবেশ৷ বুধবার সকালে কাবুলেরবিভিন্ন জায়গাতে ছিল টাকা তোলার জন্য লম্বা লাইন৷ ব্যাঙ্ক এবং এটিএম কিয়স্কের বাইরে দীর্ঘ লাইন ছিল এদিন৷ ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে আগে থেকেই টাকা তুলে রাখতে চাইছেন আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ৷ যাতে প্রয়োজন পড়লে টাকার সমস্যায় না পড়েন৷ কিংবা জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারেন৷ অনেকে আশঙ্কা করছেন আফগানিস্তানের অর্থব্যবস্থাও ভেঙে পড়তে পারে তাি আগেভাগের প্রস্তুতি!

কী বলছেন কাবুলের মহিলা সাংবাদিক?
কাবুলের এক তরুণ, নির্ভীক মহিলা সাংবাদিক মস্কা সাংগার নিয়াজে, একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'তাঁদের শহর এবং দেশ একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে৷' তিনি আরও জানান, সন্ধ্যের সময় কাবুলের পরিস্থিতি দেখতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন৷ কিন্তু কয়েকজন তালিবান যোদ্ধাকে দেখতে পেয়ে তিনি আবার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। একজন মেয়ে হিসেবে আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবান সদস্যদের কাছ থেকে তিনি কী ধরণের প্রতিক্রিয়া পাবেন তাঁর বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না!

কী বললেন মোসাকি?
মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে মোসাকি আরও বলেন, 'আমি কাবুলে আছি এবং আমি কথা বলছি কারণ আমি চাই না আমাকে চুপ করানো হোক। আমরা, আফগানিস্তানের মেয়েরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় পাচ্ছি। আর কি আমরা পড়াশোনা করতে পারব? আমাদের কি কাজ করতে দেওয়া হবে?'

মেয়েরা আগের মতো সুযোগ পাবে আফগানিস্তানে?
এরপর তালিবান ফতোয়ার বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'আমরা মুসলমান, হিজাব (পর্দা/হেড স্কার্ফ) নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমি নিশ্চয়তা চাই যে আমাকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক। মেয়েদের পড়াশোনা করার অনুমতি দেওয়া হোক। আমাদের (মেয়েদের) সমস্ত অধিকার যা আমরা এত বছর ভোগ করেছি সেটাকে সম্মান করা হবে।'