বাংলাদেশে হিন্দুদের কান্নায় নীরব রাষ্ট্রসংঘ, ঢাকায় মন্দিরে হামলার নিন্দা করল ইসকন
বাংলাদেশে হিন্দুদের কান্নায় নীরব রাষ্ট্রসংঘ, ঢাকায় মন্দিরে হামলার নিন্দা করল ইসকন
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ঢাকায় ইসকনের রাধাকান্ত মন্দির ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে কিছু ধর্মান্ধ দুষ্কৃতীরা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যমে এরকমই অভিযোগ উঠে এসেছে। সংবাদমাধ্যমের খবর ২০০ জন ধর্মান্ধ মানুষের ভিড় হঠাৎই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় ঢাকার রাধাকান্ত মন্দিরে হামলা চালিয়েছে৷ খবরে বলা হয়েছে, হামলায় ঢাকার ওয়ারীতে ২২২ জন এবং লাল মোহন সাহা স্ট্রিটের মন্দিরের অনেক সদস্য আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে মন্দিরে ভাঙচূর করতে আসা এই উন্মত্ত ইসলামিস্ট জনতার নেতৃত্বে ছিলেন হাজী শফিউল্লাহ।
এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন ইসকন কোলকাতার ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রসংঘের মতো নামধারী প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকানো বন্ধ করতে হবে হিন্দুদের, যার সবসময় হিন্দুদের কান্নায় নীরব থেকেছে।' এদিন দাস টুইটারে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে লিখেছেন, এটি একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যা দোল যাত্রা এবং হোলি উদযাপনের প্রাক্কালে ঘটেছিল। মাত্র কয়েকদিন আগে, রাষ্ট্রসংঘ ১৫ মার্চকে ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে ঘোষণা করে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।
এই প্রসঙ্গে দাস আরও বলেন, আমরা বিস্মিত যে একই রাষ্ট্রসংঘ হাজার হাজার অসহায় বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি সংখ্যালঘুদের দুঃখ-কষ্টে নীরব!বাংলাদেশে এত হিন্দু সংখ্যালঘুরা তাদের জীবন, সম্পত্তি হারিয়েছে, ধর্ষণের শিকার হয়েছে, কিন্তু আফসোস এ বিষয়ে নীরব দর্শক রাষ্ট্রসংঘ। তারা শুধু ইসলামফোবিয়া নিয়ে চিন্তিত। রাধারমন দাস জানিয়েছে, ঢাকায় মন্দিরে হামলায় অন্তত তিনজন ভক্ত আহত হয়েছেন। তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। তিনি আরও বলেন, গত বছরের নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিপরীতে হেঁটে বাংলাদেশের প্রশাসন এইবার জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে দ্রুত কাজ করেছে। অক্টোবর-নভেম্বরের যখন নোয়াখালীতে হামলা হয়েছিল যেখানে একজন ইসকন পুরোহিত নিহত হয়েছিল এবং পুলিশ আসেনি। কিন্তু এবার বাংলাদেশ পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, যারা উন্মত্ত জনতাকে সরাতে কাজ করেছে। দেশের একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই কথায় জানিয়েছেন রাধাকান্ত দাস।
প্রসঙ্গত, গত বছর, বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দীঘি হ্রদের কাছে একটি দূর্গা পূজা প্যান্ডেলে কোরান অবমাননা করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হয়েছিল৷ এরপরই সহিংসতার ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হন। এর আগে ঢাকার টিপু সুলতান রোড ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালিতেও একই ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল।