মুছে ফেলতে হবে আফগানিস্তান থেকে ভারতের চিহ্ন নির্দেশ তালিবানের
মুছে ফেলতে হবে আফগানিস্তান থেকে ভারতের চিহ্ন নির্দেশ তালিবানের
ফের অন্ধকারময় তালিবান শাসনের দিকে এগোচ্ছে কাবুলিওয়ালার দেশ। একের পর এক প্রদেশে থাবা বসাচ্ছে তালিবানরা। এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, দখল করা হচ্ছে একাধিক সেনাঘাঁটি। এই পরিস্থিতিতে তালিবান ও পাকিস্তানি যোদ্ধাদের নতুন নির্দেশ দিল জঙ্গি সংগঠনটি৷ নতুন নির্দেশে জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে ভারতের চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে৷
কিছুদিন আগেই বেছে বেছে আফগানিস্তানে শুধুমাত্র ভারতের তৈরি সম্পদগুলিকেই টার্গেট করার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এবার সেই আদেশ মতোই এগোচ্ছে তলিবান। সম্প্রতি তালিবানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে হাজার হাজার পাকিস্তানি নাগরিক। এদের প্রত্যেককেই স্পষ্ট নির্দেশ, আফগানিস্তানে ভারতের তৈরি প্রতিটি সম্পদ গুঁড়িয়ে দিতে হবে।
এমনিতেই বহু বছর ধরে আফগানিস্তান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের নাম। উগ্রপন্থী তালিবানদের প্রতিহত করতে বিভিন্ন দেশের থেকে সাহায্য পেলেও লাভের লাভ হয়নি। আমেরিকার সৈন সরে যাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই ফের সেনাদের মৃতদেহের ওপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করছে তালিবানরা।
প্রতিবেশী
আফগানিস্তান
কম
সাহায্য
করেনি
ভারত।
গত
দু'দশকে
প্রায়
তিন
বিলিয়ন
মার্কিন
ডলার
খরচ
করেছে
দেশটির
পুনর্গঠনের
জন্য।
ডেলারাম
এবং
জারাঞ্জের
মধ্যেকার
২১৮
কিমি
রাস্তা
তৈরিতেও
আফগান
দেশের
পাশে
দাঁড়িয়েছে
ভারতই।
এমনকি,
২০১৫
সালে
উদ্বোধন
হওয়া
আফগান
পার্লামেন্ট
বিল্ডিংটিও
ভারতের
সাহায্যেই
বানিয়েছে
ওদেশের
প্রশাসন।
আফগানিস্তানের
বুক
থেকে
এই
ভারতীয়
সাহায্যের
চিহ্নগুলিকেই
মুছে
ফেলতে
চাইছে
তালিবান
ও
পাকিস্তানিরা৷
সূত্রের খবর, প্রায় ১০ হাজার পাকিস্তানি যোদ্ধা সরাসরি তালিবানদের মদত দিচ্ছেন আফগানিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি এবং তালিবান যোদ্ধাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতের প্রতিটি অবদান মুছে দেওয়ার৷
আফগানিস্তানের সার্বিক শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যেও কম অবদান নেই ভারতের। সেখানকার বহু স্কুল, কলেজ ভারতেরই তৈরি। তবে ভারতীয় সাহায্য পেলেও সেদেশে ভারত বিরোধী জঙ্গিদের অভাব নেই। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বহুদিন ধরেই পাক মদতপুষ্ট হাক্কানি সহ একাধিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় ছিল আফগানিস্তানে। বর্তমানের এই অস্থির পরিবেশে তারা আরোই সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
তবে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতও। দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা খুব কাছ থেকে নজর রাখছে গোটা পরিস্থিতির ওপর৷ কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি তালিবান৷ তবে, ইতিমধ্যেই কাবুল সহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসকারী ভারতীয় কর্মীদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। ভারতীয় সংস্থা ওয়্যাপকসের বহু কর্মী কাবুলে বাঁধ তৈরির কাজ করছিলেন।