এবার শিশুদের জঙ্গি-দলে সামিল করছে তালিবানরা
এবার শিশুদের জঙ্গি-দলে সামিল করছে তালিবানরা
নারীর পর শিশু! মেয়েদের ঘরে বন্দি বানিয়ে এবার শিশুদের আত্মঘাতী জেহাদি বানানোর কাজ শুরু করছে তালিবান! অন্তত এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস মাইকেল ব্যাকলেট। তিনি সম্প্রতি আফগানিস্তানের শিশুদের জঙ্গিদলে নিয়োগের নতুন তালিবানি প্রয়াসের কথা তিনি মানবাধিকার কমিশনকে জানিয়েছেন৷
মিথ্যাচার করেছিল তালিবানরা!
কাবুল দখলের পর নানারকম মিথ্যাচার করেছিল তালিবানরা৷ মানবতা, নারী ও শিশু সুরক্ষার কথা বলেছিল সাংবাদিক সম্মেলন করে৷ কিন্তু তা যে আদপে তাদের সরকারের স্বীকৃতি এবং আমেরিকার সেনাবাহিনী সরে যাওয়ার জন্য তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে পড়ছে৷ শরিয়া মেনে মেয়েদের উপর নানারকম বিধিনিষেধ চাপানোর পর এবার শিশুদের ভবিষ্যত নষ্ট করার কাজে জোর কদমে উঠে পড়ে লেগেছে তালিবান।
এই প্রথম নয় আগেও এরকম করেছে তালিবানরা!
তবে এই প্রথম নয় এর বরাবর নিজেদের আত্মঘাতী স্কোয়াডে একাধিক শিশুকে নিয়োগ করে আসছে তালিবান। এর আগে ১৯৯৬-তে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল তালিবানরা৷ সে সময়ইও জোর করে আঠেরো বছর এবং তার চেয়ে কমবয়সীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেত তালিবানরা। তারপর বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের আত্মঘাতী স্কোয়াডে মানববোমা এবং জেহাদি সৈনিক হিসেবে ট্রেনিং দিত এই শিশুদের৷ এবারেও আমেরিকার সেনাবাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পর থেকেই নিজেদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ শুরু করেছে তালিবান।
কী বলছে রাষ্ট্রসংঘ?
রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে যদিও এখনও এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়নি৷ তবে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর নজর রাখার কথা আগেই জানানো হয়েছে৷ আখুন্দজাদাদের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর থেকেই গোটা আফগানিস্তানজুড়ে মানবতার হত্যা লীলায় উৎসবের মেজাজে রয়েছে তালিবানরা৷ নিজেদের দেশের মন্ত্রীদের তালিকায় বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের বসিয়েছে তালিবান৷
নিরাপত্তা পরিষদে কী বলেছিল ভারত?
তবে শিশুদের জঙ্গি কার্যকলাপে নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে অনেক দেশই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ ভারত এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি থাকার সময়, রাষ্ট্রসংঘে দেশের প্রতিনিধি টি এস ত্রিমূর্তি একটি রেজলিউশন প্রকাশ করেছিলেন তালিবানদের উদ্দেশ্যে, যেখামে বলা হয়েছিল এক, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড কোনো দেশকে হুমকি বা আক্রমণের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। দুই, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণের জন্য কোনওভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। রেজোলিউশনে আরও বলা হয়েছে, UNSC আশা করে যে নিজের ইচ্ছায় আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া আফগান এবং বিদেশী নাগরিকদের সে দেশ থেকে নিরাপদে সুরক্ষিতভাবে যেতে দেওয়া ব্যাপারে তালিবানরা তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবে৷ যদিও এর একটিও তালিবান পালন করছে বলে মনে করছে না কেউই৷