ইউক্রেনকে বেশি দূরত্বের মিশাইল সরবরাহ করলে ফল ভালো হবে না, হুমকি পুতিনের
ইউক্রেনকে বেশি দূরত্বের মিশাইল সরবরাহ করলে ফল ভালো হবে না, হুমকি পুতিনের
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধ। প্রথমদিকে সবটুকু জুড়ে রাশিয়ার আধিপত্য থাকলেও পরবর্তীতে পালটা লড়াই দিয়েছে ইউক্রেন। এই লড়াইয়ের মাঝেই এবার পশ্চিমি দেশগুলিকে কড়া হুমকি দিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুরুর দিকের ধাক্কা সামলে নিয়ে প্রবল প্রতিপক্ষ রাশিয়ার বিরুদ্ধে মারাত্মক যুদ্ধ করছে ইউক্রেন। আমেরিকা সহ ন্যাটোর অন্যান্য সদস্য দেশ তথা পশ্চিমি দেশগুলির সাহায্যও পাচ্ছে তারা৷ সেই লড়াইয়ের দরুণই এখনও দেশে ফেরেনি রাশিয়ান সেনা। এখনও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তারা৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একা ইউক্রেন নয়, লড়াই করছে আমেরিকা সহ অন্যান্য পশ্চিমি দেশগুলিও। এবার পরোক্ষে সেই দেশগুলিকেই হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন। তিনি স্পষ্ট বলে দিলেন, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইলের জোগান দেওয়া হলে রাশিয়া আরও প্রবলভাবে আক্রমণ করবে।
তবে শুধু হুমকি দিয়েই থামেননি পুতনি৷ এই হুমকি সংবাদমাধ্যমে আসার আগেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে রাশিয়া। যদিও তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও স্পষ্ট নয়। প্রায় কোনও রকম প্রস্তুতি ছাড়াই ইউক্রেন আক্রমণ করে একাধিক শহরকে ধ্বংস্তুপে পরিনত করেছে রাশিয়া। ইতিমধ্যেই পারমানবিক হামলারও হুমকি দিয়ে রেখেছে মস্কো৷ এর মাঝেই পাল্টা তোপ দেগেছে আমেরিকাও। ন্যাটোর তরফে ইউক্রেনকে সবসরকমের সহায়তার ঘোষণাও এসেছে।
এর আগে টোকিওতে কোয়াড সম্মেলনের মঞ্চ থেকেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে তোপ দেগে বাইডেন বলেছিলেন, 'আমরা ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি! ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ। এটি একটি মানবিক বিপর্যয় যা শুধুমাত্র ইউরোপের সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা।' তিনি আরও বলেন, 'এমনটা নয় যে রাশিয়া, ইউক্রেনে শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলিতে আঘাত করছে! তারা (রাশিয়া) ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে তাদের অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এটির মোকাবেলা করতে হবে।'