৫৭ টি দেশে খোঁজ মিলেছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের, অজানা কী তথ্য নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে WHO
৫৭ টি দেশে খোঁজ মিলেছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের
শীতের প্রকোপে অনেকটাই বেড়েছিল করোনা ভাইরাসের সংখ্যা। কিন্তু শীতের প্রকোপ কমতেই বিশ্বজুড়ে খানিকটা কমেছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু তাতেই বিশ্ববাসী নিস্তার মিলছে না। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট। যা অন্যান্য ভাইরাসের বেশি সংক্রমিত। ইতিমধ্যে বিশ্বের ৫৭ টি দেশে সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
দক্ষিণ আফ্রিকাতে মিলল নতুন প্রজাতির খোঁজ
২০২১ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে এই সাব ভারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ প্রান্তে। আবার ১০ সপ্তাহ আগে খোঁজ মিলল সাব ভারিয়েন্টের জায়গা সেই দক্ষিণ আফ্রিকায়ই। বর্তমানে যা দেশের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী জানাল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে করোনার সাপ্তাহিক আপডেট থেকে জানা যাচ্ছে, গত এক মাসের নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে, যত সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে তার মধ্যে ৯৩ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। আর একাধিক সংক্রমণ ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট। বিএ.১, বিএ১.১, বিএ.২ ও বিএ.৩ সাব ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে খোঁজ মিলেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
বিএ.১, বিএ১.১ এই দুটির খোঁজ মিলেছে দেশে
বিশ্বে প্রথম সাব ভ্যারিয়েন্টের বিএ.১, বিএ১.১ এই দুটির খোঁজ মিলেছিল। বিশ্বে ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রনের সংখ্যা। ৯৬ শতাংশই সাব ভ্যারিয়েন্টের দ্বারা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। তবে সেই সঙ্গে বিশ্বে বিএ.২ সাব ভ্যারিয়েন্টও ক্রমশ তার প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। সাব ভ্যারিয়েন্টের থেকে ওমিক্রনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনেক আলাদা। কারণ এটি মিউটেট হয়।
WHO কী জানাল
WHO জানিয়েছে, ৫৭ টি দেশ থেকে বিএ.২ সিকোয়েন্সটি পাওয়া গেছে তা ইতিমধ্যে জিআইএসএআইডি-তে জমা দেওয়া হয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে প্রায় সবই ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট। যদিও এই প্রজাতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। এই সংক্রমণ কতটা গুরুতর তা জানা যাবে গবেষণার পর।
তবে, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিএ.২ করোনার রূপ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রমিত ও ঝুঁকিপূর্ণ।
মারিয়া ভ্যান কেরকোভ কী জানালেন
WHO এর করোনা বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরকোভে জানান, এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিষয়ে আমাদের কাছে অনেক সিমীত তথ্য আছে। কিছু তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে বিএ.২ সাব ভ্যারিয়েন্টের বৃদ্ধির হার বিএ.১ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় অনেক বেশি।
কী নিয়ে করোনা বিশেষজ্ঞ সতর্ক করলেন
পাশপাশি তিনি আরও জানান, ডেল্টা বা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এই প্রজাতি খুব একটা গুরুতর রোগের সৃষ্টি করে না। তবে প্রজাতিতে কী কী পরিবর্তন এসেছে, তা এখনও জানা যায়নি। তাই তিনি সবার উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে।