For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

শ্বেত ভাল্লুকের হানায় রাশিয়ার দ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি

রাশিয়ার একটি প্রত্যন্ত রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, কারণ গত কয়েকদিন ধরে অসংখ্য শ্বেত ভাল্লুক মানব বসতিগুলোয় এসে হাজির হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

  • By Bbc Bengali

উত্তর মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ায় শ্বেত ভাল্লুকগুলো খাবারের জন্য লোকালয়ে হানা দিচ্ছে
PA
উত্তর মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ায় শ্বেত ভাল্লুকগুলো খাবারের জন্য লোকালয়ে হানা দিচ্ছে

রাশিয়ার একটি প্রত্যন্ত রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, কারণ গত কয়েকদিন ধরে অসংখ্য শ্বেত ভাল্লুক মানব বসতিগুলোয় এসে হাজির হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

নোভায়া যেমালয়া দ্বীপের কর্মকর্তারা বলছেন, এলাকাটিতে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করেন। কিন্তু ভাল্লুকগুলো আসতে শুরু করার পর অনেক মানুষ হামলা শিকার হয়েছেন।

আবাসিক এবং সরকারি ভবনগুলোয় প্রবেশ করছে এসব ভাল্লুক।

জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে শিকার প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বেত ভাল্লুক। খাবারের খোজে প্রায়শ এসব ভাল্লুক লোকালয়ে হানা দেয়।

আরো পড়ুন:

গরুর শিং থাকবে কিনা- সুইজারল্যান্ডে গণভোট

বন রক্ষার জন্য শিকার ছেড়ে দিয়েছে যে আদিবাসীরা

কাগজের ব্যাগ কী প্লাস্টিক ব্যাগের চেয়ে পরিবেশ বান্ধব

এসব ভাল্লুককে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী বলে তালিকাভুক্ত করেছে রাশিয়া। তাই শ্বেত ভাল্লুক শিকার করা নিষিদ্ধ।

কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ যেসব পেট্রোল বা সিগন্যাল ব্যবহার করে এসব ভাল্লুক তাড়িয়ে থাকে, তা থেকে ভীতি কেটে গেছে এসব প্রাণীর। ফলে এগুলো সামলাতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

তারা বলছেন, ভাল্লুকগুলোকে তাড়ানোর অন্যসব পন্থা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সামনে একটি পদ্ধতিই খোলা থাকবে। তা হচ্ছে, এগুলোর মধ্য থেকে একটি অংশকে মেরে ফেলা।

ওই এলাকার মুল বসতি যেখানে, সেই বেলুশা গুবায় ৫২টি ভাল্লুক দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ছয় থেকে দশটি সবসময়েই সেখানে থাকছে।

স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান ভিগানশা মুসিন বলেছেন, পাঁচটির বেশি ভাল্লুক রয়েছে স্থানীয় সামরিক ঘাটিতে, যেখানে বিমান বাহিনী এবং বিমান প্রতিরক্ষার বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

''১৯৮৩ সাল থেকে নোভায়া যেমালয়াতে আমি রয়েছে, কিন্তু এভাবে এতো বেশি মাত্রায় ভাল্লুকদের আসার ঘটনা দেখিনি।''

তার সহকারী জানিয়েছেন, এ কারণে বসতিগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়ে পড়েছে।

''মানুষজন ভীত হয়ে পড়েছে, তাদের বাড়িঘর ছাড়তেও ভয় পাচ্ছে। তাদের প্রতিদিনকার রুটিন ভেঙ্গে পড়েছে, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুল বা কিন্ডারগার্টেনে পাঠাচ্ছেন না।'' বলছেন স্থানীয় প্রশাসনের ডেপুটি অ্যালেক্সান্ডার মিনায়েভ।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উত্তর মেরুর সাগরের বরফ গলে কমে যাচ্ছে, ফলে মেরু অঞ্চলে থাকা শ্বেত ভাল্লুকগুলো তাদের শিকারের অভ্যাস পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে। তারা বরফের রাজ্য থেকে বেরিয়ে ভূমিতে এসে খাবার খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে, যা মানুষের সঙ্গে তাদের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি করছে।

২০১৬ সালে পাঁচজন রাশিয়ান বৈজ্ঞানিক ট্রোনোয় দ্বীপের একটি প্রত্যন্ত আবহাওয়া স্টেশনে বেশ কয়েকদিন শ্বেত ভাল্লুক দ্বারা অবরুদ্ধ থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন।

English summary
The state of emergency issued in Russian island over White bear
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X