আইনস্টাইনের জন্মদিনের দিন প্রয়াত হকিং! দু'জনের মধ্যে বিস্ময়কর কিছু 'মিল' ঘিরে কয়েকটি তথ্য
১৪ মার্চ ! ২০১৮ সালের এই ১৪ মার্চ কেড়ে নিয়েছে বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং -কে, আবার ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চেই এই পৃথিবী পেয়েছে বিজ্ঞানের অন্যতম রাজপুত্র অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে।
বিশ্ববিজ্ঞানের আঙিনায় আজ এক অদ্ভুত দিন। ১৪ মার্চ ! ২০১৮ সালের এই ১৪ মার্চ কেড়ে নিয়েছে বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং -কে, আবার ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চেই এই পৃথিবী পেয়েছে বিজ্ঞানের অন্যতম রাজপুত্র অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে। বিশ্ব জুড়ে জন্ম-মৃত্যুর এক অদ্ভুত খেলার মধ্যেই ১৪ মার্চ দিনটি বিজ্ঞানী মহলে একটি বিস্ময়কর দিন হয়ে রয়ে গেল। দুই প্রখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানীর এমন যোগসূত্র ভাবাতে শুরু করেছে অনেককেই। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দিনটিকে 'পাই ডে' নামে আখ্যা দিয়েছেন। তবে ,বিস্ময় এখানেই শেষ নয়, দুজনের মধ্যে আরও বেশ কিছু যোগসূত্র রয়েছে , রয়েছে কিছু বিস্ময়কর 'মিল'।
হকিং এর নাম 'আইনস্টাইন'
জানা যায়, ছোটবেলায় স্টিফেন হকিং-কে স্কুলে 'আইনস্টাইন' নামে ডাকা হত। ক্লাসে তিনি পড়াশুনোতে ছোটবেলায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও, বন্ধুরা তাঁকে চিনত 'আইনস্টাইন' নামেই।
মস্তিষ্কের সমস্যা
একটি রিপোর্টে প্রকাশ পায় যে, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কে অস্টিজিম সম্পর্কিত কিছু সমস্যা ছিল। যদিও তা খুবই স্বল্প পরিমাণ সমস্যা , তবে তাঁর 'অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিস-অর্ডার' ছিল বলে জানা যায়। এই ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকলে , কোনও দিকে লক্ষ্য রাখতে, বা নানা পরিস্থিতিতে বয়সোনুচিত ব্যবহার করতে সমস্যা হয় ব্যক্তির। অন্যদিকে স্টিফেন হকিং এরও প্রায় ৫৫ বছর ধরে অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্কেলারিজ -এর সমস্যা ছিল। যে দুটি শারীরিক সমস্যাই মস্তিষ্ককে কেন্দ্র করে তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: পাঁচ দশক ধরে অথর্ব শরীর ও সতেজ মন নিয়ে লড়াই চালিয়েছেন হকিং]
দুজন স্ত্রী
আইনস্টাইন ও হকিং দুজনেরই দুটি বিবাহ। আইনস্টাইন প্রথম স্ত্রী মিলেভা মেরিককে ডিভোর্স করে পরবর্তীকালে এলসা লোয়েন্থালকে বিয়ে করেন। উল্লেখ্য, এই লোয়েন্থাল সম্পর্কে তাঁর আত্মীয় হন। অন্যদিকে, স্টিফেন হকিং -ও জেন হকিং এর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর বিয়ে করেন এলেইনে ম্যানসনকে বিয়ে করেন।
বুদ্ধিদীপ্ততা
বুদ্ধিদীপ্ততার বিচারে আইনস্টাইন ও হকিং এর মধ্যে বিস্ময়কর কিছু মিল দেখা যায়। দুজনেরই 'আই কিউ' প্রায় ১৬০-এর কাছাকাছি।
দুজনেরই পছন্দের বিষয় একই
দুই প্রোথিতযশা বিজ্ঞানীই একই ধরনের আকর্ষণীয় তত্ত্বের উপর গবেষণা করেছেন। ব্ল্যাক হোল, ওয়ার্ম হোল, টাইম ট্রাভেল-এর মতো আসামান্য বিষয়গুলি তাঁদের চিরকাল আকর্ষণ করে গিয়েছে।
পদার্থবিদ্যার একাত্মকরণ
বলা হয়, একনিষ্ঠভাবে আইনস্টাইন তাঁর জীবনের শেষ বেলায় কয়েকবছর ধরে পদার্থবিদ্যার একাত্মকরণ নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন। একটিমাত্র সূত্র দিয়ে তিনি বিশ্বের বহু রহস্যের সমাধান করতে চেয়েছিলেন, যদিও তা পারেননি। একই পথে অগ্রসর হয়েছিলেন স্টিফেন হকিং-ও। তবে তিনিও পারেননি।