প্রতিবাদীরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে দেখলেই গুলির নির্দেশ শ্রীলঙ্কায়
শেষ একমাস ধরে খাদ্য, ওষুধ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ভুগছে শ্রীলঙ্কা! এর আগে কখনও এরকম শোচনীয় অর্থনৈতিক অবস্থার মুখোমুখি হয়নি দেশটি৷ স্বাভাবিকভাবেই বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে এসে ভাঙচুর চালাচ্ছে। এই প্রতিবাদী জনতাকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দিল শ্রীলঙ্কার সরকার৷ শেষ তিনদিনে কলম্বো সহ শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রান্তে ৮ জনের মানুষ মারা গিয়েছে৷ সরকার পক্ষ ও বিরোধীদের সংঘর্ষে প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছেন!

শ্রীলঙ্কায় একাধিক নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়েঋে বিক্ষোভকারীরা!
বিক্ষোভ থামাতে বুধবার প্রতিবাদীদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার৷ নির্দেশে বলা হয়েছে কোথাও যদি বিক্ষোভকারীরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে তাহলে অবিলম্বে গুলি চালাতে হবে৷ প্রসঙ্গত, সোমবার মহিন্দা রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পরপরই দ্বীপরাষ্ট্রে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তার পদত্যাগের পরেই বিক্ষোভকারীরা হাম্বানটোটায় রাজনৈতিকভাবে-প্রভাবশালী রাজাপক্ষে পরিবারের পৈতৃক বাড়িটি আগুন লাগিয়ে দেয়! এরপর একাধিক মন্ত্রী ও প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা হয়, লাগানো হয় আগুন !

সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ!
পরিস্থিতি এমন জায়গাতে পৌঁছেছে যে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মঙ্গলবার সরকারি সম্পত্তি বাঁচাতে ও বিক্ষোভকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে
সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর কর্মীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। সর্বজনীন সম্পত্তি লুণ্ঠন বা অন্যদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া জনতার উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে৷

মহিন্দা ও গোতবায়ার স্মৃতি স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করল বিক্ষোভকারীরা!
প্রসঙ্গত, কুরুনেগালায় প্রধানমন্ত্রী মহিন্দার আর একটি বাড়িতেও বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছে। ঠিক তখনই বিক্ষোভকারী জনতার অন্য একটি গোষ্ঠী হাম্বানটোটার মেদামুলানাতে মহিন্দা এবং গোতবায়ার পিতার স্মৃতিতে নির্মিত, ডি এ রাজাপক্ষে স্মৃতিসৌধওটিও গুড়িয়ে দিয়েছে!