এখনই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে দিলে বাড়তে পারে করোনার ঝুঁকি, সতর্ক করল হু
এখনই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে দিলে বাড়তে পারে করোনার ঝুঁকি, সতর্ক করল হু
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের দাপট দশমাসে পা দিল। কিন্তু মারণ ভাইরাসের চিত্রটা কিন্তু সেভাবে বদলাতে দেখা যায়নি। কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে সব দেশ জানিয়েছিল যে তাদের দেশে করোনার প্রকোপ কমে গিয়েছে সেইসব জায়গাতেও ফের নতুন করে এই মারণ রোগ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে জনজীবন স্বাভাবিক ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সব দেখার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু–এর প্রধান সতর্ক করে জানিয়েছেন যে মহামারির মধ্যেও এত দ্রুত সমাজের সব ক্ষেত্র খুলে দেওয়া বিপর্যয়ের প্রণালীকে আহ্বান জানানো।
হু–এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেসাস পরামর্শ দিয়েছেন যে, 'যত বেশি সংখ্যক দেশের এই ভাইরাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তত বেশি দেশ তাদের সব ক্ষেত্র খুলে দিতে চাইছে।’ হু–এর প্রধান জোর দিয়ে জানান যে দেশগুলি পুনরায় স্বাভাবিক হওয়ার জন্য উতলা হয়ে উঠেছে তাদের সংক্রমণ দমন করার বিষয়ে গুরুতরভাবে ভাবনা চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন, 'এটা সত্যিই একটি অসম্ভব সামঞ্জস্য, কিন্তু তা করা ছাড়া উপায় নেই।’ জেনেভাতে সাংবিদকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন টেড্রস।
ওইসব দেশগুলির জন্য টেড্রস চারটে মূল বিষয় উল্লেখ করেছেন যা দেশ, সম্প্রদায় ও স্বতন্ত্রভাবে তার ওপর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানর ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু করা কারণ এইসব জায়গা থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়, দ্বিতীয়ত দুর্বল জাতিগুলিকে সুরক্ষা দেওয়া, তৃতীয়ত ব্যক্তিগতভাবে এই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যদি কেউ আক্রান্ত হন তবে তার সংস্পর্শে আসা যোগাযোগগুলিকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো, টেস্টিং করা, যত্ন নেওয়া ও আইসোলেশনে থাকা।
যদিও ভারতের সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেছেন যে করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার কৌশল হিসাবে যে লকডাউনের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল তা গ্রেড পদ্ধতিতে চালু করা হোক কারণ এখন সময় এসেছে স্বাভাবিকের পথে হাঁটা, তাই স্কুল–কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা দরকার।
অদূর ভবিষ্যতেও দেখা মিলবে না করোনার কার্যকরী ভ্যাকসিনের? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট নতুন গবেষণায়