ব্রিটিশ রাজপরিবারে দুই বউ-এর জোর কাজিয়া! আসরে নামতে হল রানি এলিজাবেথ-কে
ঢাক গুঁড় গুঁড় চলছিল। এবার নাকি সত্য কথা বলেই ফেলেছেন ব্রিটেনের হবু রানি হওয়ার দিকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা কেট মিডলটন। তাঁর তোপ নাকি রাজপ্রসাদের ছোট বউ তথা জা মেগান মর্কেলের দিকে।
ঢাক গুঁড় গুঁড় চলছিল। এবার নাকি সত্য কথা বলেই ফেলেছেন ব্রিটেনের হবু রানি হওয়ার দিকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা কেট মিডলটন। তাঁর তোপ নাকি রাজপ্রসাদের ছোট বউ তথা জা মেগান মর্কেলের দিকে। কেট নাকি বলেই দিয়েছেন যে তাঁকে সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করে রাজপরিবারের বউ হয়েছেন মেগান। এখন কাজ মিটে যেতেই তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করে কেট-কে নাকি অসম্মান করছেন।
প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মর্কেলের বিয়ে নিয়ে অনেক জটিলতাই তৈরি হয়েছিল। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক অশ্লীল ছবিতে কাজ করা মেগানকে রাজপরিবারেরস বহু সদস্যই মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। হ্যারির জন্য বড় বউদি হিসাবে কেট রাজপরিবারের সেই সব হার্ডলগুলোকে নির্মূল করেছিলেন। এবং স্বামী উইলিয়ামকে সঙ্গে করে হ্যারি ও মেগানের চারহাত এক করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। কিন্তু মেগানের আচার-আচরণে কেট এখন এতটাই ক্ষুব্ধ যে তিনি মনে করছেন তাঁকে প্রতারিত করা হয়েছে।
রাজপরিবারের এক সূত্র থেকে এক মার্কিন পত্রিকার কাছে কেট ও মেগানের মধ্যে কাজিয়ার বিষয়টি ফাঁস করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে। ওই সূত্রে নাকি মার্কিন এই পত্রিকাকে জানানো হয়েছে রাজপরিবারের দুই বউ-এর ইগোর লড়াই-এর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে কিছুদিন আগে। প্রিন্স হ্য়ারি ও মেগান মর্কেল কেনিংসটন প্রাসাদ ছেড়ে উইন্ডসোর দুর্গের ফ্রোগমোর কটেজে চলে যাওয়ার কথা ঘোষণা হতেই। মেগান এই মুহূর্তে অন্তঃস্বত্তা। কেনিংগসটন রাজপ্রসাদ থেকে জানানো হয়েছে মেগান তাঁর সন্তানের জন্ম ফ্রোগমোর কটেজেই দেবেন।
কেন আচমকা রাজপ্রসাদ ছেড়ে ভিন্ন স্থানে সংসার পাততে গেলেন হ্যারি ও মেগান। এই নিয়ে কেনিংগসটন রাজপ্রসাদে ফিসফিসানি শুরু হয়। রাজপ্রসাদের অন্দরমহলের সূত্রে দাবি করা হয়েছে কেটের রাগেই ভিন্ন স্থানে সংসার পাততে হয়েছে ছোট রাজকুমার ও তাঁর স্ত্রী-কে।
২০১৮ সালের মে মাসে প্রিন্স হ্য়ারি ও মেগান মর্কেলের বিয়ে হয়। দেখা গিয়েছিল চোখের জল ফেলতে ফেলতে বিবাহস্থল ত্য়াগ করছেন কেট মিডলটন। রাজপরিবারের সূত্রে দাবি করা হয়েছে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই রাজপ্রসাদের সমস্ত বিষয়ে খবরদারি শুরু করেছিলেন মেগান। এমনকী কেট ও উইলিয়ামের জন্য নিযুক্ত লোকেদেরও অহেতুক হেনস্থা করতে শুরু করেছিলেন। ভোর পাঁচটা থেকে কেট ও উইলিয়ামের কর্মীদের মেল করে এবং ফোন করে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিলেন মেগান। এতে একদিন ক্ষুব্ধ হয়ে কেট নাকি সরাসরি মেগানকে বলেছিলেন, তিনি ছাড়া তাঁর কর্মীদের সঙ্গে অন্য কেউ কথা বলুক এটা তিনি চান না।
এরপর থেকেই রাজপরিবারের দুই বউ-এর সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। সমস্ত বিষয় নাকি রানি এলিজাবেথের কানেও গিয়েছে। তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজপরিবারের ঐক্য এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার পক্ষে। কোনও ধরনের বৈরিতা রাজপরিবারের মধ্যে চলবে না। দুই নাত-বউ-এর সঙ্গে সরাসরি এখনও নাকি এই নিয়ে কোনও কথা বলেননি রানি। তবে, তাঁর কর্মীদের দিয়ে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
এমনকী রাজপরিবারের ক্রিসমাস সেলিব্রেশনের উৎসবেও কেট ও মেগান-কে উপস্থিত থাকতে নাকি নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। শেষমেশ দুই বউ-ই সেলিব্রেশনে হাজির হয়েছেন। ক্রিসমাসে রাজপরিবার গীর্জায় বার্ষিক প্রার্থনা করে তাতে একসঙ্গে নাকি অনেকক্ষণ হাঁটতে দেখা গিয়েছে কেট ও মেগানকে। রাজপরিবারের এক ছাতায় থাকতে গেলে দুই জনকে যে বিরোধ মেটাতে হবে তা নাকি বুঝতে পেরেছেন কেট ও মেগান। ক্রিসমাস ও বক্সিং ডে উপলক্ষে রানি-র নোরফ্লক রর্য়্যাল এস্টেটে যে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেও কেট ও মেগান দিন কয়েক কাটিয়ে এসেছেন। এখানকার বেশকিছু ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। যাতে ওয়াইন-এর গ্লাস হাতে মেগানের পাশে হাঁটতে দেখা গিয়েছে কেট-কে। রাজপরিবারের সূত্রে দাবি, মেগান অন্তঃস্বত্তা তাই তিনি এখন কোনও ধরনের অ্যালকোহন পান করছেন না। তবে, দুই বউ জমাটি করে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। সরকারিভাবে কেনিংগসটন রাজপ্রসাদ এখনও স্বীকার করতে রাজি নয় যে দুই বউ-এর ঝামেলায় আরএকবার লন্ডভণ্ড হতে বসেছিল রাজপরিবারের গরিমা।