চাবুকের ঘায়ে শাস্তির প্রথা বন্ধ হতে চলেছে সৌদিতে
সৌদিতে একবিংশ শতকে দাঁড়য়েও এতদিন চালু ছিল বেশ কিছু মধ্যযুগীয় প্রথা। সেরকমই এতদিন এখানে শাস্তি স্বরূপ চাবুক মারার প্রথারও প্রচলন ছিল। এই প্রথাকেই সম্ভবত এবার বন্ধ করতে চলেছে সৌদি আরব। দেশের শীর্ষ আদালত থেকে এমন তথ্যই মিলছে।
চাবুকের বদলে শাস্তি হবে কারাদন্ড বা জরিমানা
দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই চাবুক মারার প্রথা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলে শাস্তি হতে পারে, কারাদণ্ড অথবা জরিমানা, বা দুটোই এক সঙ্গে । সরকারি ভাবে কিছু এখনও না জানালেও এ মাসেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের জেনারেল কমিশন।
রাইফের ঘটনার পরেই কী তবে নড়েচড়ে বসল সৌদি সরকার?
চাবুক মারার শাস্তির বিষয়টি নিয়ে শেষবার বিশ্বব্যাপী আলোচনার জোয়ার উঠেছিল। ২০১৫ সালে, ব্লগার রাইফ বাদাউইকে সাইবার অপরাধ এবং ইসলাম ধর্মকে অবমাননার দায়ে জনসম্মুখে চাবুক মারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, রাইফ বাদাউইকে দশ বছরের জেল এবং এক হাজার চাবুক মারার শাস্তি দেওয়া হয়। বাদাউইয়ের কারাদণ্ড চলাকালীন ঐ এক হাজার চাবুক প্রতি সপ্তাহে দফায় দফায় মারার কথা ছিল। ২০১৫'র জানুয়ারিতে তাকে ৫০ বার চাবুক মারাও হয়। কিন্তু ঘটনা সামনে আসতেই, সারা বিশ্বব্যাপী সৌদির বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠলে, সেই শাস্তি স্থগিত করা হয়।
সৌদিতে এখনও জারি বেশ কিছু মধ্যযুগীয় প্রথা
সৌদি আরবে এখনও বেশ কিছু মধ্যযুগীয় প্রথার প্রচলন রয়েছে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল চুরির শাস্তিতে হাত কেটে নেওয়া, খুন বা সন্ত্রাসবাদে মাথা কেটে ফেলা। কিন্তু এই নিষ্ঠুরতম শাস্তি গুলো এখনও বেআইনি ঘোষিত হয়নি। এই প্রসঙ্গে, সৌদির মানবাধিকার কমিশনের প্রেসিডেন্ট আওয়াদ আলাওয়াদ মন্তব্য বলেন, সে দেশের মানবাধিকার রক্ষা ক্ষেত্রে চাবুক মারা বন্ধ করা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।