নিয়ামক সংস্থাকে অনুমোদনের জন্য আবেদন, ডিসেম্বরে ইউরোপে আসতে পারে ফাইজার ভ্যাকসিন
কবে আসবে ভ্যাকসিন? কবে মুক্তি পাওয়া যাবে এই মহামারি থেকে? বিশ্বজুড়ে এখন সকলেরই এই একই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। এরই মধ্যে জার্মানির বায়োএনটেক ও তার মার্কিন অংশীদার ফাইজার মঙ্গলবারই জানিয়েছে যে তারা কোভিড–১৯ ভ্যকসিনের ওপর অনুমোদনের জন্য ইইউ নিয়ামক সংস্থার কাছে আবেদন করেছে। তাদের আশা ডিসেম্বরেই এই ভ্যাকসিন উপলব্ধ হবে।

৯৫ শতাংশ কার্যকর ফাইজার
দুই সংস্থাই জানিয়েছে যে তারা ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির কাছে সোমবার তাদের ভ্যাকসিনের ‘শর্তাধীন বিপণন অনুমোদনের' জন্য আবেদন করেছে। জানা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিনের টেস্টে দেখা গিয়েছে এটি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ৯৫ শতাংশ কার্যকর।

২০২০ সালের শেষে ইউরোপে পাওয়া যেতে পারে
এক বিবৃতিতে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমস্টার্ডডাম ভিত্তিক ইএমএর থেকে যদি অনুমোদন পাওয়া যায় তবে ২০২০ সালের শেষেই এই ভ্যাকসিন ইউরোপে উপলব্ধ হবে। ফাইজার ও বায়োএনটেক ইতিমধ্যে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য মার্কিন ফুড ও ড্রাগ প্রশাসনের কাছে গত ২০ নভেম্বর আবেদন করেছে। যদি মার্কিন নিয়ামক সংস্থা সবুজ সঙ্কেত দেয়, তবে আমেরিকানরা ডিসেম্বরের মধ্যভাগ থেকেই ভ্যাকসিন নিতে পারবে।

ফাইজারের ভ্যাকসিন অপেক্ষায় রয়েছে অনুমোদনের
ব্রিটেনের নিয়ামক সংস্থাও বায়েএনটেক/ফাইজারের স্ক্রিনিং করছে। ফাইজারের সিইও আলবার্ট বউলা বলেন, ‘আমাদের এই সফরের শুরুর সময় থেকে জানি যে রোগীরা অপেক্ষা করছেন এবং সম্ভাব্য অনুমোদনকারী এ বিষয়ে অনুমতি দিলেই আমরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছি।'

ফাইজার ও মর্ডেনা উভয়ই রয়েছে এগিয়ে
বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন রেসের সামনের সারিতে থাকা সহযোগী সদস্য মার্কিন বায়োটেক সংস্থা মর্ডেনা বলেছে যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ উভয় জায়গায় কোভিড-১৯ শটের জন্য জরুরি নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন চেয়েছে।

সিপিএমকে জায়গা করে দিচ্ছে তৃণমূল', লাল-সবুজের নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত শমীক ভট্টাচার্যের