মন্ত্রিসভা ভাঙায় কোনও রকম ভূমিকা অস্বীকার করেছে পাক-সেনাবাহিনী
মন্ত্রিসভা ভাঙায় কোনও রকম ভূমিকা অস্বীকার করেছে পাক-সেনাবাহিনী
রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছে পাকিস্তানজুড়ে। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। প্রবল চাপের মুখে রবিবার সংসদ মুলতুবি করে ইমরানের পদ বাঁচিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। এরপর রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির কাছে মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুন করে নির্বাচনের কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অনেকেই মনে করছিলেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য কিছুটা হলেও দায়ী দেশের সেনা। এবার এই প্রশ্ন সোজা উড়িয়ে দিলেন পাক সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখর।
রবিবার একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইফতিখর বলেন, 'আজ জাতীয় সংসদে যা ঘটেছে৷ তার পেছনে সেনার কোনও হাত নেই।' এই মুহূর্তে পাকিস্তানে টালমাটাল অবস্থা। সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর এই দেশটিতে বিরোধীদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। তিনিই সংবিধানের পাঁচ নং ধারা দেখিয়ে আজ অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছেন। ফলত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও সুযোগ পেয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখার। পাক সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হবে প্রতিবেশী দেশে।
গত ৮ মার্চ তারিখেই অনাস্থা প্রস্তাবের কথা বলে বিরোধীরা৷ সেই সময় ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন, এটা তাঁর বিরুদ্ধে বৈদেশিক চক্রান্ত। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, এরপরই পাক সেনার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসে। সেখানে তাঁকে তিনটি পথের কথা বলা হয়। পদত্যাগ, অনাস্থা প্রস্তাবের সম্মুখীন হওয়া অথবা তড়িঘড়ি নির্বাচন ঘোষণা। সেই অভিযোগের সত্যতাই এবার উড়িয়ে দিল সেনা।স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই।
পাকিস্তানে অস্থিরতার নতুন ভরকেন্দ্র সুপ্রিমকোর্ট, অবস্থানে অনড় বিরোধীরা
যদিও পাকিস্তানে ইমরান-বিরোধীরা এরপরই দ্বারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের। ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছেন নওয়াজ সহ ইমরান বিরোধীরা। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা মরিয়াম নওয়াজ শরিফ বলেন, 'ইমরান একজন উন্মাদ। তাঁকে যদি শাস্তি না দেওয়া যায়, দেশজুড়ে জঙ্গলরাজ চলবে।' সংসদে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দলের নেতা তথা নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফও ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, 'ইমরান খান দেশকে একনায়কতন্ত্রের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন৷ সংবিধান অবমাননার ফল ভুগতেই হবে৷ আশা করছি সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের মর্যাদা বজায় রাখবে।'