শ্যামবর্ণা মানুষদের মধ্যে করোনার লক্ষণ সনাক্ত করতে ব্যর্থ অক্সিমিটার, সতর্ক করল আমেরিকা
শ্যামবর্ণা মানুষদের মধ্যে করোনার লক্ষণ সনাক্ত করতে ব্যর্থ অক্সিমিটার, সতর্ক করল আমেরিকা
করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পালস অক্সিমিটার স্বাস্থ্যকর্মীদর জন্য এখন প্রয়োজনীয় জিনিসে পরিণত হয়েছে। কারণ অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই অক্সিজেন স্তর কম হওয়ায় তা বিপদজ্জনক হিসাবে দেখা দিয়েছে। আম আদমি পার্টি শাসিত দিল্লি সরকার অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে এবং হাসপাতালের উপর চাপ কমানোতে সহায়তার করার জন্য বাড়িতে আইসোলেটে থাকা রোগীদে মধ্যে কয়েক হাজার অক্সি মিটার বিতরণ করে।
তবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন জানিয়েছে যে এই হাল্কা ডিভাইস, যা রক্তে অক্সিজেন স্তর মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়, তা শ্যামলা ত্বকের লোকেদের ক্ষেত্রে সঠিক ফল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন ফেডারেল এজেন্সি বলেছে যে রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা গণনা করার জন্য পালস অক্সিমিটারি কার্যকর, তবে কিছু পরিস্থিতিতে পালস অক্সিমিটারের সীমাবদ্ধতা এবং অসম্পূর্ণতার ঝুঁকি রয়েছে। বলা হয়েছে, অক্সিমিটার কার্যকর না হওয়ার বেশ কিছু কারণের মধ্যে ত্বকের পিগমেন্টেশনান, ত্বকের পুরুভাব, ত্বকের তামাত্রা, বর্তমানে তামাকের ব্যবহার ও এমনকী নখে লাগানো রঙও অনেক ক্ষেত্রে দায়ি। এফডিএ এক বিবৃতিতে বলেছে যে করোনা ভাইরাসের মতো রোগীরা যারা ঘরে বসে তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন তাদের অবস্থার সমস্ত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং যদি কোনও অস্বস্তি হয় তবে তা চিকিৎসককে জানানো দরকার।
সংস্থাটি পরামর্শ দেয় যে রোগীদের তাদের মুখের রং, ঠোঁট বা নখের রং, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা এবং স্নায়ু ঠিকঠাক চলছে কিনা সে দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এজেন্সি আরও উল্লেখ করেছে যে কম অক্সিজেনের স্তরের কিছু রোগীর মধ্যে এই সমস্ত লক্ষণ প্রদর্শিত হয় না। এমন পরিস্থিতিতে কেবল চিকিৎসকই এটি সনাক্ত করতে পারবেন।
গরু নিয়ে পড়ুয়াদের জ্ঞান কতটা? যাচাই করতে ৫ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে চলেছে ইউজিসি