কমছে পোকা–মাকড়ের সংখ্যা, প্রভাব পড়ছে পরিবেশে, প্রমাণ গবেষণায়
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিগত দশকে কীট–পতঙ্গের এক তৃতীয়াংশ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে তৃণভূমিতে। বিভিন্ন গবেষণা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে ২৫ বছর আগে জার্মানির বিভিন্ন ঝোপ–জঙ্গলে যে পরিমাণ পোকা মাকড়ের ডাক, তাদের চলার শব্দ–উড়ে বেড়ানোর টের পাওয়া যেত, এখন তা অনেকাংশেই কমে গিয়েছে।

টামের টেরিস্ট্রিয়াল ইকোলজি রিসার্চ গ্রুপের বিজ্ঞানী ডঃ সেবাস্টিয়ান সেইবোল্ড বলেন, 'আগের গবেষণাগুলিতে কোনও নির্দিষ্ট স্থানের কীট–পতঙ্গের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পোকাদের ওজন বা স্বতন্ত্র প্রজাতির পোকা বা পোকাদের দলের ওপর। সমীক্ষায় উঠে এসেছে পোকা–মাকড়ের বড় একটি অংশের ওপর প্রভাব পড়েছে। তবে এখনও সেটা স্পষ্ট নয়।’ বায়োডিভারসিটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে জার্মানির ব্রান্ডেনবার্গ, থুরিংগিয়া এবং বাদেন–উরট্টামবার্গে কীট–পতঙ্গের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে। নেচার নামের এক বৈজ্ঞানিক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গবেষকরা প্রায় ৩০০টি জায়গা থেকে এক মিলিয়নের বেশি পোকা–মাকড় সংগ্রহ করে। তাঁরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে এর মধ্যে ২৭০০টি কীট–পতঙ্গ হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় ধরা পড়েছে যে জার্মানির বেশ কিছু প্রদেশে বিরল প্রজাতির পোকা–মাকড় আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
বনভূমি এবং তৃণভূমি উভয় ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানীরা ১০ বছর পরে প্রায় এক তৃতীয়াংশ কম পোকার প্রজাতি গণনা করেছিলেন। সেইবোল্ড বলেন, 'আমাদের সমীক্ষার আগে এটা অস্পষ্ট যে কীট–পতঙ্গের মাধ্যমে বনভূমিগুলি কীভাবে প্রভাবিত হয়েছিল।’ গবেষকরা ২০০৮ সাল থেকে লক্ষ্য করেছেন যে ৪০ শতাংশ পোকা–মাকড় কম হয়ে গিযেছে বনাঞ্চলে।
মিডিয়া কারসাজি ও ভুয়ো তথ্য রুখতে এবার নয়া কৌশল টুইটারের