অস্ট্রেলিয়ায় করোনা গ্রাফ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তীব্র আকারে হাসপাতালের বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা
অস্ট্রেলিয়ায় করোনা গ্রাফ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের প্রভাবে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। যা কয়েকদিনের সংক্রমণের মাত্রার থেকে তীব্র বলে জানা গিয়েছে।
সরকারি তথ্য থেকে কী উঠে এল
সরকারি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ৩টি সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া ও কুইন্সল্যান্ডের মধ্যে আজ সকাল পর্যন্ত মোট ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংক্রমণ আগের সপ্তাহের থেকে ৫৭% বেশি পরিমাণে ছাড়িয়ে পড়েছে।
পেরোটেট কী জানালেন
নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটেট জানিয়েছেন, 'আজ আমাদের রাজ্যের জন্য একটি কঠিন দিন। কারণ আজ মৃতের সংখ্যা ৩৬ জন দাঁড়িয়েছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্রমশই হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। যা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে।'
কোড ব্রাউন কী ঘোষণা করলেন
কোড ব্রাউন ঘোষণা করে জানিয়েছেন, সাধারণত স্বল্পমেয়াদী কিন্তু জরুরী অবস্থার জন্য সক্ষম যে সমস্ত হাসপাতালগুলির কর্মীদের ছুটি বাতিল করা দরকার। টিকাবিহীন কমবয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাটাও বাড়ছে। এখনও এখানে লকডাউন করা হয়নি। ব্যবসা বানিজ্যও চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কী জানালেন
মঙ্গলবার ANZ সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের জন্য করতে হতে পারে লকডাউন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানান, ওমিক্রন সংক্রমণের প্রভাবে ঘরে থাকার প্রবণতা বাড়ছে। পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত করোনা সংক্রমণে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দিচ্ছে বলে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২,৭৫৭
নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া, কুইন্সল্যান্ড ও তাসমানিয়াতে নতুন করে আক্রান্তের খবর ৬৭,০০০ জনের বেশি পাওয়া গেছে। যা গত বৃহস্পতিবার ১৫০,০০০ থেকে নীচে নেমে এসেছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১.৬ মিলিয়ন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন ছিল। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২,৭৫৭ ।
কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ক্রিকেট
অস্ট্রেলিয়াটের প্রধান নিক হকলি। তিনি করোনার ডবল ডোজপ্রাপ্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি করোনা পজেটিভ হওয়ার পর জানিয়েছেন,' এই মুহূর্তে আমি নিজের বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছি। পরিবার সদস্যদের সঙ্গেই রয়েছি। ওদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।'