দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা বাড়ার কারণ ভারত, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা বাড়ার কারণ ভারত, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ক্রশই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫০ শতাংশ। এখানে করোনা এত কারণ ভারত। এমনই জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO জানিয়েছেন, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কেস রিপোর্টে দেখা গেছে ১৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ১৬০ টি কেসের খবর পাওয়া গেছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৬ লক্ষ৩৮ হাজার ৮৭২ এর থেকে বেশি।
দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও আবার ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। সোমবার ভারতে ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৬৪ টি নতুন আক্রান্তের খবর মিলেছে। যা আগের দিনের থেকে ৮.২ শতাংশ কম। পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ও মরক্কোয় করোনার নতুন কেসের সংখ্যা দেখা গেছে। গত সপ্তাহে ছিল ৪ হাজার ৬১০। যা ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩১ হাজার ৭০১। লেবাননে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ২৩১। গত সপ্তাহে ছিল ৩৮ হাজার ১১২। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে তিউনিসিয়াতে। গত সপ্তাহে তিউনিসিয়াতে ৩ হাজার ৯৪৮ জনের আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪১৬।
WHO আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের কেস ১৭১ টি দেশে তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে ওমিক্রন দ্রুত গতিতে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এই প্রজাতি থেকে মৃত্যু ভয় অনেক কম। দেশে দৈনিক পজিটিভিটি রেট একলাফে অনেকাই বাড়ল। বেড়ে হয়েছে ২০.৭৫ শতাংশ।
WHO এর প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস জানিয়েছিলেন মহামারি এখনও শেষ হয়নি। এটি শেষ এখনও সময় লাগবে। তিনি আরও বলেছিলেন, ওমিক্রনের উপসর্গ কম থাকলেও এটিকে একেবারেই হালকা করে নেওয়া উচিত নয়।
আগের SARS-CoV-2 ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ঠিকই, তবে এতে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কম। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুর্বল জনসংখ্যার দিকে নজর না দিলে এটি গুরুতর রোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।