চিনে ফের বাড়ছে করোনার দাপট! প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তৈরি হচ্ছে ৪ হাজার শয্যা সহ বিশালাকার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
নতুন বছরের শুরু থেকেই চিন ফের বেড়েছে করোনার দাপট। জিনসজ্জায় নিত্যনতুন বদল ঘটিয়ে নবস্ট্রেনে নবরূপে ফিরে এসেছে করোনা। ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জার্মানির মত দেশে দেখা মিলছে নতুন স্ট্রেনের। সেই সঙ্গে করোনার সম্ভাব্য জন্মস্থান চিনেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সূত্রের খবর, এহেন করোনা জোয়ার ঠেকাতে বড়সড় কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে জিনপিং সরকার। জানা গেছে, হেবেই প্রদেশের রাজধানী সিজিয়াজহুয়াং শহরের বাইরে তৈরি হচ্ছে প্রায় ৪,০০০ নাগরিকের বসবাসযোগ্য সেন্টার।

যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ
চিন প্রশাসন সূত্রে খবর, লুনার নববর্ষে সারাবিশ্ব থেকে নিজ গৃহে ফেরেন চিনা নাগরিকরা। সেক্ষেত্রে নববর্ষের আগেই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। জানা গেছে, নতুন সংক্রমণের উপকেন্দ্র সিজিয়াজহুয়াংয়ে গণপরীক্ষা ও কড়া লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। সিজিয়াজহুয়াংয়ের ডেপুটি মেয়র মেং জিয়াংঘঙয়ের মতে, \"প্রায় ৪,০০০ কর্মী লাগাতার ৬ দিন ৬ রাত কাজ করে চলেছেন। আশা করি, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের দ্বারা সকলকে শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে আনা সম্ভব হবে।\"

প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকাজ শেষ
চিন সরকারের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির মতে, প্রথম ধাপের নির্মাণকার্য শেষ হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। সংবাদমাধ্যমের মতে, প্রত্যেক ১৮ বর্গ মিটার মাপের ঘরে থাকবে বাথরুম, শাওয়ার, ডেস্ক, চেয়ার, বিছানা, ওয়াই-ফাই ও টিভি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতিপূর্বে যেভাবে মাত্র ১০ দিনে ১,০০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করেছিল চিন সরকার, এই প্রকল্প সেই একই ধাঁচের। চিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, মঙ্গলবার চিনে নতুন করে আক্রান্ত ১৬১ জন, যার মধ্যে উপসর্গহীন ৫৮ জন।

২৪২ দিন পর প্রথম কোভিড-মৃত্যু চিনে
চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের খবর, প্রায় ২৪২ দিন পর বুধবার করোনার জেরে চিনের হেবেই প্রদেশে মারা যান একজন। চিনের মূল-ভূখণ্ডে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮,৫৫৭ জন, মৃত প্রায় ৪,৬৩৫। সূত্রের খবর, সংক্রমণ রুখতে ৮ই জানুয়ারি থেকে লকডাউন বহাল হয়েছে সিজিয়াজহুয়াংয়ে। চিনের গণমাধ্যমের মতে, সিজিয়াজহুয়াংয়ের ১২টি গ্রামের প্রায় ২০,০০০ মানুষকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে। যদিও কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে চিকিৎসার হাল-হকিকত কেমন, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

সিজিয়াজহুয়াং প্রদেশে শুরু দ্বিতীয় পর্যায়ের গণহারে করোনা-পরীক্ষা
এখনও পর্যন্ত হেবেই প্রদেশে ১.৭ কোটি নাগরিকের করোনা পরীক্ষা হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের গণ করোনা-পরীক্ষাও শুরুর মুখে, এমনটাই জানিয়েছে চিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই হেবেইয়ের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করেছে বেজিং। স্বাস্থ্যঅফিসাররা লকডাউন অবস্থা খতিয়ে দেখছে বলেও খবর। চিনের উত্তর-পূর্বের জিলীন প্রদেশে ইতিমধ্যেই নতুন করে আক্রান্ত ১০২ জন। করোনাবিদদের মতে, এহেন সংক্রমণের কারণ চিনে নতুন স্ট্রেনের প্রবেশ ছাড়া আর কিছু নয়!

মহার্ঘভাতা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে মোদী সরকার! শীঘ্রই হতে পারে ঘোষণা