কুলভূষণ মামলায় তিনজন নিরপেক্ষ আইনজীবী নিয়োগ ইসলামাবাদ হাইকোর্টের
কুলভূষণ যাদব মামলায় পাকিস্তানের তিনজন সেরা আইনজীবীকে নিয়োগ করল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে এই আইনজীবীরা নিরপেক্ষ ভাবে এই মামলা সম্পর্কে হাইকোর্টকে পরামর্শ দেবেন। পাশাপাশি এদিন পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেলকে ভারত সরকার ও কুলভূষণের সঙ্গে কথা বলে তাঁর পক্ষেও আইনজীবী নিয়োগ করার কথা বলেন।
নিরপেক্ষতার তাগিদে ইসলামাবাদের নির্দেশ
আগের আইসিজে-র রায়ের ফলে কুলভূষণের ফাঁসি আটকানো সম্ভব হলেও পাকিস্তানের সরকারের একগুঁয়ে মনোভাবের জেরে ভারত সেভাবে কুলভূষণকে সাহায্য করতে পারছিল না। এমন কী কুলভূষণের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করা যাচ্ছিল না। এই আবহে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার তাগিদে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই তিন আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছেন। এদের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী, প্রাক্তন বার কাউন্সিলের প্রধান, সেদেশের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল শামিল রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কুলভূষণ মামলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পাকিস্তান এর আগে ভারতকে বারবার আইন বহির্ভূত ভাবে কুলভূষণ মামলায় অপদস্থ করারর চেষ্টা করেছে। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়েছে যে কুলভূষণ মামলায় তাদের রায় ফাইনাল, এবং পাকিস্তানকে তা মেনেই চলতে হবে। তা সত্ত্বেও ইসলামাবাদ যা করে চলেছে তা এক প্রকার আদালত অবমাননা। তবে তাতে ইমরানের কিছু যায় আসে বলে মনে হয় না। আর এবার তাই আন্তর্জাতির আদালতের রায় অনুযায়ী এই মামলা চালানোর লক্ষ্যেই এই নিরপেক্ষ আইনজীবীদেপ নিয়োগ করা হয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের তরফে।
কুলভূষণকে আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি
আন্তর্জাতিক আদালতে আগেই কুলভূষণ মামলায় বড় জয় পেয়েছিল ভারত। তবে সেই জয়ের পরও পাক সরকার রায় এবং ভারতের দাবি মেনে নেয়নি। এবং ভারত কোনও আইনি পরামর্শও দিতে পারছিল না কুলভূষণ যাদবকে। তবে এবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টও নির্দেশ দিল যে কুলভূষণ মামলায় ভারতীয় পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক।
৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলা মুলতুবি
এদিন ইসলামাবাদে এই মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের তরফে জানানো হয় যে কুলভূষণ মামলাটি আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়। এবং সেই সময় পর্যন্ত ভারতকে একজন আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেওয়া উচিত। যদিও সেই আইনজীবীকে পাকিস্তানি হতে হবে বলে সাফ জনিয়ে দেওয়া হয় ইসলামাবাদ হাইকোর্টের তরফ থেকে।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ গ্রেফতাকর হয় কুলভূষণ
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল পাকিস্তানের সেনা আদালত। পাকিস্তান গত সপ্তাহে দাবি করে, সাজার রায়ের পনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চাননি কুলভূষণ যাদব, বরং প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতেই চান তিনি। পাকিস্তানের দাবি খারিজ করে ভারত বলে, এতেই প্রমাণ হয়, আন্তর্জাতিক আদালতের রায় কার্যকর করতে চায় না পাকিস্তান। এরপরই ইসলামাবাদের উপর পাল্টা চাপ তৈরি শুরু করে ভারত।
রাম মন্দিরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এঁরাই, তবুও অযোধ্যার ভূমিপুজোয় থাকছেন না আডবাণীরা!