COP26-এ জলবায়ু সচেতনতা নিয়ে মোদীর উদ্যোগের প্রশংসা IMF-এর
COP26-এ জলবায়ু সচেতনতা নিয়ে মোদীর উদ্যোগের প্রশংসা IMF-এর
সম্প্রতি আগেই Cop-26 বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একাধিক উদ্যোগের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্লাসগোয় ওয়ার্ল্ড লিডার সামিট অফ কপ-২৬ সম্মেলনে মোদীর সেই সমস্ত উদ্যোগকেই সাধুবাদ জানাল ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফাণ্ড।
আইএমএফের কমিউনিকেশন বিভাগের ডিরেক্টর গ্যারি রাইস বললেন, ' ২০৭০ এর মধ্যে নেট জিরো এমিশনের লক্ষ্য নিয়েছে ভারত। ওরা পুর্নব্যবহারযোগ্য সম্পদে জোর দিতে চায়, কার্বন যাতে পরিবেশে কম ছড়িয়ে পড়ে, তার ব্যবস্থা করতে চায়। আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের অন্যতম দূষণকারী দেশ। এখনও বিদ্যুৎ এবং কয়লার ওপর নির্ভরশীল। ওরা যদি এভাবে পরিবেশের কথা ভেবে উদ্যোগ নিতে শুরু করে, বাকিরাও অনুপ্রাণিত হবে। যেভাবে ভারত পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়েছে। ওরা যেভাবে জলবায়ু সমস্যার সমাধানে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ওরা নতুন লক্ষ্যে পৌঁছোতে প্রস্তুত।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা ভারতের এই কর্মকাণ্ডে গর্বিত। চলতি দশকে যাতে দূষণ কম করা যায়, বাকি দেশগুলিরও উচিত সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া।'
উল্লেখ্য, গ্লাসগোয় গোটা বিশ্বের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার যোগ দিয়েছিলেন মোদী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, অজি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও উপস্থিত ছিলেন কপ-২৬ এর বৈঠকটিতে। মঙ্গলবার মোদী জানিয়েছিলেন, জলবায়ু নিয়ে সচেতন হওয়া কোনও একটি দেশ বা সংস্থার কর্তব্য নয়। গোটা মানবজাতির কর্তব্য। এখনই জলবায়ু নিয়ে মাথা না ঘামালে সবার আগে দ্বীপরাষ্ট্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ, গত কিছু দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যেকটি দেশ। গরিব হোক কিংবা উন্নয়নশীল অথবা উন্নত, কেউ ছাড় পায়নি। প্রত্যেকটি দেশেই প্রাকৃতিক সম্পদ কমতে দেখা যাচ্ছে, এটা বড়সড় সমস্যা।
প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বে উন্নত দেশগুলির থেকে বড় অংশের গ্যাস নির্গমন হয় যা বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য বড় ভূমিকা পালন করে৷ ভারতের তরফে এর আগেই আমেরিকার রাষ্ট্রদূত জন কেরিকে এই বিষয়ে জানিয়েছিল ভারত। পাশাপাশি বড় দেশগুলিকে পরিবেশের এই ক্ষতি পূরণের জন্য অর্থ দেওয়ার সপক্ষে সওয়াল করেছে ভারত। এমনকি দেশ হিসেবে ভারতও ইচ্ছুক হয়েছে তার ভাগের ক্ষতিপূরণের জন্য৷