
চিনের চিন্তা বাড়িয়ে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ, সামনে এল নয়া তথ্য
শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালের শেষের দিক। চিনের উহান প্রদেশ থেকে ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল মারণ ভাইরাস করোনা। এরপর যদিও চিনে 'জিরো করোনা' কর্মসূচি পালিত হলেও ধীরে ধীরে অবস্থা খারাপের দিকেই যাচ্ছে সেই দেশে। জানা গিয়েছে বর্তমানে চিনে খুব খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দিনে দিনে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে চিনে করোনা পরিস্থিতি। চিনে সর্বাধিক জনবহুল বাণিজ্যিক এলাকা সাংহাইয়ের পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক।

সাংহাইয়ের পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার সাংহাইতে নতুন ২৭ হাজার জনের দেহে করোনা সংক্রমনের খবর সামনে এসেছে। তারমধ্যে ২৫৭৩টি নতুন প্রজাতির করোনা সংক্রমণের লক্ষণ ছিল। একদিনের এই সংক্রমণ পুনরায় রেকর্ড গড়েছে সেই প্রদেশে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কঠোর লকডাউন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য
বৃহস্পতিবার জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, গোটা দেশে ২৯৩১৭টি নতুন সংক্রমণ রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়েছে। তারমধ্যে ২৯৯৯টি সংক্রমণের লক্ষণ ছিল। গত মার্চ মাস থেকে সাংহাইতে কঠোর বিধি-নিষেধ বলবৎ রয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ দেখা যাচ্ছে না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও কমছে না আক্রান্ত। সংক্রমনের রূপ দেখে বোঝাই যাচ্ছে সাংহাই করোনার ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

নতুন করে সংক্রমণ
সাংহাইয়ের পৌর স্বাস্থ্য দফতর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, মার্চ মাস থেকে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে সেখানে। মার্চ মাসের পর থেকে শহরে বর্তমানে নয়জন করোনা রোগীর অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। এই ৯জনের মধ্যে ৮ জনের বয়স অনেকটাই বেশি বলে খবর। জানা গিয়েছে তাদের বয়স ৭০-৯৩ এর মধ্যে। এঁরা সকলেই গুরুতর রোগে আক্রান্ত। সেইসঙ্গে এদের কাউকেই করোনার টিকা দেওয়া হয়নি বলেও জানা গিয়েছে।

মহামারী নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা
দক্ষিণ চিনের হাইনান দ্বীপে সফরের সময় শি জিনপিং ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে যা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই নিয়মাবলীর কোনও পরিবর্তন হবে না। তিনি আরও বলেছেন যে সকল ব্যক্তিদের কোনও উপসর্গ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, তাঁরা অনেক বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁদের অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সেদেশে লকডাউন বিধিনিষেধগুলি শুধুমাত্র কিছু এলাকায় আংশিকভাবে শিথিল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই সকল এলাকায় দুই সপ্তাহ ধরে নতুন করে করোনা সংক্রমণের খবর আসেনি। কিন্তু অন্যান্য জায়গায় করোনার গ্রাফ চিন্তা বাড়াচ্ছে চিনের।